যুক্তরাজ্যে ডার্ক চকোলেট টোবলারোনির উৎপাদন বন্ধ হতে যাচ্ছে, যা দেশটির খাদ্য বাজারে পরিবর্তনের একটি ইঙ্গিত। প্রায় ছয় দশক ধরে বাজারে থাকা এই ত্রিকোণাকৃতির বাদাম ও মধু মিশ্রিত চকোলেট বারটি এখন থেকে আর পাওয়া যাবে না।
প্রস্তুতকারক সংস্থা মন্ডেليز জানিয়েছে, ক্রেতাদের রুচি পরিবর্তনের কারণেই তারা এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাজারে টিকে থাকতে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো প্রতিনিয়ত তাদের পণ্যের পরিবর্তন আনে। অতীতেও মার্স ডিলাইট, ক্যাডবেরি ড্রিম-এর মতো জনপ্রিয় চকোলেট বারগুলি বাজার থেকে বিদায় নিয়েছে। টোবলারোনির এই সিদ্ধান্ত সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।
তবে টোবলারোনির এই বিদায় শুধু একটি পণ্যের উৎপাদন বন্ধের ঘটনা নয়, বরং এটি খাদ্য বাজারের বৃহত্তর পরিবর্তনের একটি চিত্র। সম্প্রতি “দুবাই চকোলেট”-এর চাহিদা বাড়ছে, যেখানে রয়েছে পেস্তাবাদামের ক্রিম এবং ঐতিহ্যবাহী মধ্যপ্রাচ্যের ডেজার্ট ‘কানাফেহ’ -এর স্বাদ।
এমন পরিস্থিতিতে, ভোক্তারা নতুন স্বাদের দিকে ঝুঁকছে।
এদিকে, বাজারে কোকোর দাম বেড়ে যাওয়ায় চকোলেটের দামও বাড়ছে। যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে চকোলেটের দাম ১৩.৬ শতাংশ বেড়েছে।
অনেক দোকানে ইস্টার এগ-এর দামও ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। শুধু দাম বৃদ্ধিই নয়, অনেক পণ্যের আকারও ছোট হয়ে আসছে, যা “শ্রিঙ্কফ্লেশন” নামে পরিচিত।
এই পরিবর্তনের হাওয়া বাংলাদেশেও লাগতে পারে। কারণ, খাদ্যপণ্যের বাজারে রুচি এবং চাহিদার পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
স্থানীয় মিষ্টি ও স্ন্যাকসের বাজারেও দাম বৃদ্ধি বা আকারের পরিবর্তনের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।
ডার্ক চকোলেট টোবলারোনির বিদায় একদিকে যেমন কিছু ভোক্তার জন্য হতাশার, তেমনি এটি খাদ্য প্রস্তুতকারকদের নতুন উদ্ভাবনের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করবে।
একইসাথে, বাজারের এই পরিবর্তন ভোক্তাদের রুচি এবং চাহিদার গুরুত্বকে আরও একবার সামনে নিয়ে আসে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান