শেফ, গোয়েন্দা আর ‘ট্রমা-মুক্ত’ শিল্পী: ডেটিং অ্যাপে আমার অভিযান!

আধুনিক যুগে ডেটিং অ্যাপগুলির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং এর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি, একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কীভাবে এই অ্যাপগুলি ব্যবহারকারীদের মধ্যে সম্পর্ক-বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনছে।

প্রতিবেদনে এক জন লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি একইসঙ্গে ছয়টি ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হন। শুরুতে, অ্যাপগুলির মাধ্যমে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আগ্রহ থাকলেও, দ্রুতই তিনি এর ক্লান্তিকর দিকটি অনুভব করেন।

বিভিন্ন প্রোফাইল তৈরি করা, নিয়মিত বার্তা আদান-প্রদান করা এবং সবার সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখা বেশ কঠিন ছিল।

লেখক উল্লেখ করেছেন, ডেটিং অ্যাপগুলি অনেক সময় ব্যবহারকারীদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক দূরত্ব তৈরি করে। এর কারণ, অ্যাপগুলিতে মানুষজন নিজেদেরকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে চান, ফলে অনেক সময় বাস্তবতার সঙ্গে এর মিল থাকে না।

এই ধরনের পরিস্থিতিতে, সম্পর্কের গভীরতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

লেখকের মতে, ডেটিং অ্যাপগুলি সম্ভবত ভালোবাসার সম্পর্ক খুঁজে বের করার জন্য তৈরি হয়নি। বরং, এগুলো ব্যবহারকারীদেরকে সম্পর্ক খুঁজে যাওয়ার নেশায় আবদ্ধ করে রাখে।

তিনি আরও মনে করেন, অনেক সময় ব্যবহারকারীরা অন্যদেরকে নিছক একটি প্রোফাইল হিসেবে দেখেন, যা মানবিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর।

এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, লেখক এখন একটি অ্যাপের (Hinge) উপর মনোযোগ দিতে চান এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও গভীরতা ও আন্তরিকতা আনতে আগ্রহী।

তিনি মনে করেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এই যুগে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা এবং বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা রাখা জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে—নিজেকে অনলাইনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা, অন্যদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা।

এছাড়া, সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিত।

এই প্রতিবেদনটি ডিজিটাল যুগে সম্পর্কের জটিলতা এবং ডেটিং অ্যাপগুলির প্রভাব সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেয়।

তথ্যসূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *