মেয়েটির বিশাল কুকুরটিকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফেরার আবদারে পরিবারের মধ্যে তৈরি হয়েছে জটিলতা। সম্প্রতি এক তরুণীর বিচ্ছেদের পর মায়ের কাছে কিছুদিনের জন্য থাকার ইচ্ছাই কাল হয়েছে।
২২ বছর বয়সী এক তরুণী তার প্রেমিকের সাথে বিচ্ছেদের পর মা-বাবার কাছে “কয়েক মাসের জন্য” থাকার অনুমতি চেয়েছিল। সমস্যা হল, মেয়েটি তার বিশাল আকারের গ্রেট ডেন (Great Dane) কুকুরটিকেও সাথে আনতে চেয়েছিল। মা-বাবা প্রথমে রাজি হলেও, কুকুরের বিষয়টি জানার পরই তাদের মত পাল্টে যায়।
তাদের যুক্তি ছিল, তাদের ছোট আকারের বাড়ি, দুটি বিড়াল এবং কুকুরের অতীতের কিছু ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের কথা বিবেচনা করে তারা এই প্রস্তাবে রাজি হতে পারছেন না।
মেয়েটির মা জানিয়েছেন, তাদের ছোট্ট একটি বাড়ি, দুটি বিড়াল রয়েছে এবং তাদের ধৈর্য্যেরও একটা সীমা আছে। এছাড়াও, একসময় তারাই মেয়েটির কুকুরটিকে বড় করেছেন এবং কুকুরটির আসবাবপত্র চিবানো, জিনিসপত্র ভেঙে ফেলা, এমনকি বিড়ালদের ভয় দেখানোর মতো ঘটনার কথা তাদের এখনো মনে আছে।
বাবা-মা তাদের মেয়েকে জানান, কুকুরটিকে ছাড়া সে তাদের সাথে থাকতে পারে। এমনকি তারা কুকুরটির জন্য স্বল্প মেয়াদী কোনো “পোষ্য-বান্ধব” ভাড়াও দিতে রাজি ছিলেন, যতদিন না মেয়েটি নিজের মতো করে থাকার ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু মেয়েটি তাতে রাজি হয়নি।
তার অভিযোগ, তার বাবা-মা যেন “আসবাবপত্রের চেয়েও তার সুখকে কম গুরুত্ব দিচ্ছেন।”
বর্তমানে মেয়েটি তার এক বন্ধুর বাড়িতে থাকছে এবং বাবা-মায়ের ফোন ধরছে না। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। মেয়ের এক ফুফু (মায়ের বোন) এই সিদ্ধান্তে তাদের “হৃদয়হীন” বলছেন এবং তার মতে, “কখনো কখনো ছেলেমেয়েরা কিছু সমস্যা নিয়ে বাড়ি ফেরে।”
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও আলোচনা চলছে। অনেকেই মনে করছেন, মেয়েটি যেহেতু প্রাপ্তবয়স্ক, তাই তাকে নিজের সিদ্ধান্তগুলোর ফল ভোগ করতে হবে। একজন মন্তব্য করেছেন, “সে একজন প্রাপ্তবয়স্ক। সে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে: তার কাছে তার কুকুরটিই প্রধান। সে নিশ্চয়ই নিজের থাকার ব্যবস্থা করে নেবে।”
অন্য একজন লিখেছেন, “আপনারা ভালো একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু সে রাজি হয়নি। আপনার শান্তি এবং পোষ্যদের দেখভাল করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।”
অনেকের মতে, যদি ফুফু এতই আগ্রহী হন, তবে তিনি যেন তার ভাগ্নি এবং কুকুরটিকে নিজের কাছে রাখেন।
তথ্য সূত্র: পিপল