একটি উদ্বেগজনক ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যেখানে এক নারী তার মায়ের জীবনভর সঞ্চয় তার সঙ্গীকে ঋণ হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মায়ের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে একটি নতুন বাড়ি কেনার পরিকল্পনা, যার জন্য মায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী বিপুল পরিমাণ অর্থ ধার নিতে চাচ্ছেন।
জানা গেছে, মায়ের সঙ্গে তাঁর সঙ্গীর ছয় বছরের সম্পর্ক। তারা একটি নতুন বাড়িতে বসবাস করতে চান, যে কারণে এই ঋণের প্রস্তাবনা এসেছে।
যদিও প্রাথমিকভাবে ঋণটি স্বল্প মেয়াদের জন্য হবে বলা হচ্ছে, কিন্তু মেয়ের মনে আশঙ্কা, কারণ মায়ের দেওয়া এই ঋণ যদি কোনো কারণে ফেরত না আসে, তবে মায়ের আর্থিক নিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে পড়বে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, মায়ের সঙ্গী এখনো পর্যন্ত তাকে বিয়ে করতে রাজি হননি, এমনকি বাড়ির মালিকানায়ও মায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চান না।
মেয়েটির ভাষ্যমতে, তার মায়ের প্রাক্তন বিবাহবিচ্ছেদের সূত্রে পাওয়া কিছু অর্থ এখনো সুরক্ষিত রয়েছে, যা একটি ‘নিরাপত্তা জাল’ হিসেবে কাজ করছে।
কিন্তু মায়ের এই সিদ্ধান্ত তাকে শঙ্কিত করে তুলেছে। তিনি মনে করেন, মায়ের এই অর্থ যদি সঙ্গীকে দেওয়া হয়, তবে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে তা কিভাবে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে, সেই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য মেয়েটি একটি অনলাইন ফোরামের সাহায্য নেন।
সেখানে অধিকাংশ সদস্যই এই ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে মায়ের এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না।
ফোরামের সদস্যরা মায়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন এবং আইনি পরামর্শ নেওয়ার জন্য সতর্ক করেন।
তাদের মতে, কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনের আগে ভালোভাবে চুক্তি তৈরি করা এবং আইনি সহায়তা নেওয়া অপরিহার্য।
এই ঘটনা থেকে আমাদের সমাজে আর্থিক সম্পর্কের জটিলতা এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে আর্থিক সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন করে সচেতন হওয়া দরকার।
বিশেষ করে, যখন কোনো দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের প্রশ্ন আসে, তখন উভয় পক্ষেরই উচিত সতর্ক থাকা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করা।
তথ্য সূত্র: পিপল