প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা: ডেভিড অ্যাটেনবরোর জন্মদিনে বিশেষ শ্রদ্ধা!

ডেভিড অ্যাটেনবোরো ৯৯ বছরে পা: বিশ্বজুড়ে প্রকৃতিপ্রেমীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

প্রকৃতিপ্রেমী এবং অনুসন্ধিৎসু সকলের কাছে ডেভিড অ্যাটেনবোরো এক অতি পরিচিত নাম। যিনি তাঁর অসাধারণ কাজের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের মনে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও কৌতূহল জাগিয়ে তুলেছেন।

তাঁর ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই কিংবদন্তীর প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বারাক ওবামা থেকে শুরু করে বিলি আইলিশ, মরগান ফ্রিম্যান, এমনকী বাংলাদেশের মানুষেরাও তাঁর প্রকৃতি প্রেম ও কাজের প্রতি মুগ্ধ।

বারাক ওবামা তাঁর বক্তব্যে ডেভিড অ্যাটেনবোরোর প্রোগ্রামগুলি দেখে কিভাবে বাস্তুতন্ত্রের পারস্পরিক সম্পর্ক উপলব্ধি করেছেন, সেই কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অ্যাটেনবোরোর কাজ থেকে তিনি শিখেছেন, একটি দেশের ভালো কাজ অন্য দেশগুলি অনুসরণ না করলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

অরুন্ধতী রায় প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরে বলেন, অ্যাটেনবোরো দেখিয়েছেন কীভাবে পৃথিবীর প্রতিটি জীব অন্য জীবের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাঁর মতে, আমরা একা কিছুই নই।

সংগীতশিল্পী বিলি আইলিশ ডেভিড অ্যাটেনবোরোর প্রকৃতি ও প্রাণীজগতের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও জ্ঞানের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, এই জ্ঞান আমাদের সকলের মধ্যে শৈশবের কৌতূহলকে জাগিয়ে তোলে।

পরিবেশবিদ ও লেখক বেন ফোগল ডেভিড অ্যাটেনবোরোকে তাঁর অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ছোটবেলায় অ্যাটেনবোরোর কাজ তাঁকে শহর থেকে দূরের জঙ্গল ও মরুভূমির সঙ্গে পরিচিত করিয়েছিল।

অভিনেতা মরগান ফ্রিম্যান অ্যাটেনবোরোর বর্ণনাশৈলী ও গল্প বলার ধরনকে প্রশংসা করেন। তিনি জানান, অ্যাটেনবোরোর কাজ তাঁকে পৃথিবীর সৌন্দর্য ও ভঙ্গুরতা সম্পর্কে নতুন করে উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মতে, অ্যাটেনবোরো শিখিয়েছেন কীভাবে একত্রিত হয়ে আমাদের এই পৃথিবীকে রক্ষা করতে হবে।

এই বিশেষ দিনে, বাংলাদেশের মানুষের কাছেও ডেভিড অ্যাটেনবোরোর কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের প্রতি তাঁর আগ্রহ ও সচেতনতা, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

তাঁর কাজ পরিবেশ সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায় এবং প্রকৃতিকে ভালোবাসতে উৎসাহিত করে।

ডেভিড অ্যাটেনবোরো শুধু একজন প্রকৃতিবিদ নন, তিনি একজন শিক্ষক, গল্পকার এবং অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব। তাঁর কাজ আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করতে হয়।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *