বিখ্যাত ‘ফ্রেন্ডস’ তারকা: কেন থিম সং-টি ভালো লাগত না?

“ফ্রেন্ডস” (Friends) খ্যাত অভিনেতা ডেভিড শ্যুইমার, যিনি জনপ্রিয় এই টেলিভিশন সিরিজে রস গেলারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সম্প্রতি খ্যাতি এবং সাফল্যের চাপ নিয়ে মুখ খুলেছেন। জনপ্রিয় এইsitcom-এর কারণে তার জীবনে আসা পরিবর্তনগুলো নিয়ে তিনি কথা বলেছেন একটি পডকাস্টে।

বিশেষ করে, সিরিজের থিম সং, ‘আই’ল বি দেয়ার ফর ইউ’ (I’ll Be There For You) নিয়ে তার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন তিনি।

নব্বইয়ের দশকে “ফ্রেন্ডস” ছিল বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক। সেই সময়ে এর প্রতিটি চরিত্রই দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল।

ডেভিড শ্যুইমারের মতে, খ্যাতি তার জীবনে অনেক পরিবর্তন এনেছিল। এমনকি সিরিজের থিম সংটিও একসময় তার কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি জানান, বহুবার গানটি শোনার ফলে তার ভালো লাগা দূরে থাক, বরং শুনতে অস্বস্তি হতো।

ব্রিটিশ কমেডিয়ান ম্যাট লুকাস এবং ডেভিড ওয়ালিয়ামস-এর সঞ্চালনায় ‘মেকিং এ সিন’ (Making a Scene) নামক পডকাস্টে শ্যুইমার এই বিষয়ে কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, খ্যাতি পাওয়ার পরে কিভাবে তার ব্যক্তিগত জীবন কঠিন হয়ে পড়েছিল।

একবার, লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (LAX) তিনি এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন, যা তাকে রীতিমতো ভীত করে তুলেছিল। বিমানবন্দরের মধ্যে একদল তরুণী তাকে ঘিরে ধরে, চিৎকার করতে শুরু করে এবং তার সাথে ছবি তোলার জন্য বায়না ধরে।

শ্যুইমার জানান, সেই ঘটনাটি তাকে বুঝিয়েছিল যে খ্যাতি কতটা কঠিন হতে পারে।

শ্যুইমার আরও জানান, “ফ্রেন্ডস” যখন প্রথম প্রচারিত হয়, তখন পরিচালক জিম বারোজ তাদের একটি ক্যাসিনোতে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন, “তোমরা এখন যেমন আছো, এরপর আর এমন সাধারণ জীবন পাবে না।” সেই কথা যে কতটা সত্যি ছিল, তা তিনি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন।

এমনকি তার বাড়ির বাইরে সবসময় তিনটি গাড়ি তাকে অনুসরণ করত, যার কারণে তিনি এক মুহূর্তের জন্যও গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেননি।

তবে সময়ের সাথে সাথে শ্যুইমারের অনুভূতিতে পরিবর্তন এসেছে। যখন তার মেয়ে এই সিরিজটি দেখতে শুরু করে, তখন তিনি আবার নতুন করে “ফ্রেন্ডস”-এর প্রতি আকৃষ্ট হন।

মেয়ের হাসিখুশি প্রতিক্রিয়া দেখে তার মনে হয়, গানটি এবং সিরিজটির প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি যেন নতুন করে তৈরি হয়েছে।

সবশেষে বলা যায়, ডেভিড শ্যুইমারের এই অভিজ্ঞতা খ্যাতি ও সাফল্যের পেছনের কঠিন দিকগুলো তুলে ধরে। যদিও “ফ্রেন্ডস” আজও অনেকের কাছে প্রিয়, শ্যুইমারের এই সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে একজন তারকার ব্যক্তিগত জীবনের উত্থান-পতন এবং সময়ের সাথে তার অনুভূতির পরিবর্তনের গল্প।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *