ওয়াশিংটন ডিসিতে (Washington D.C.) এক অগ্নিনির্বাপক কর্মীকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি জরুরি সাহায্য চেয়ে ৯১১ নম্বরে ফোন করেন, কিন্তু কোনো সাড়া পাননি।
অবশেষে তিনি তার সহকর্মীদের সাহায্য চান, এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে উদ্ধারকারী দল। এই ঘটনাটি শহরের জরুরি পরিষেবা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
গত ২০শে সেপ্টেম্বর, গ্যারি “জিক” ডজিকান নামের ওই দমকলকর্মী ডি.সি.-র একটি উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। ফেরার পথে, ক্যাপিটল হিলের (Capitol Hill) কাছে একদল দুষ্কৃতীর কবলে পড়েন তিনি।
তাদের মধ্যে একজন তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুটের চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে জিককে গুলি করা হয়।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি তৎক্ষণাৎ ৯১১ নম্বরে ফোন করেন, কিন্তু তিন মিনিট ধরে অপেক্ষা করার পরও কোনো উত্তর পাননি। এরপর তিনি তার নিজস্ব ফায়ার স্টেশনে ফোন করে দ্রুত সাহায্যের আবেদন জানান।
এই ঘটনার পর ডি.সি.-র জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, জরুরি অবস্থার মোকাবিলায় এই ব্যবস্থাটি প্রায়ই দুর্বলতা দেখায়।
ঘটনার দিন, ৯১১ কল সেন্টারে কর্মী সংকট ছিল এবং কর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, ঘটনার রাতে কল-এর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল।
এই কারণে অনেক কল-এর উত্তর দিতে দেরি হয়েছে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, জরুরি অবস্থার মোকাবিলায় এমন দুর্বলতা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এদিকে, পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গেছে, ১৭ বছর বয়সী মার্সেলুস ডাইসন জুনিয়রকে (Marcellus Dyson Jr.) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাকে ইতিমধ্যে অস্ত্রসহ ডাকাতি, সহিংস অপরাধের সময় অস্ত্র ব্যবহার এবং গুরুতর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আহত জিক বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি এই ঘটনার জন্য শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং জরুরি পরিষেবার দুর্বলতাকে দায়ী করেছেন।
তার মতে, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে না পারার কারণে অনেক সময় জীবনহানির মতো ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর তিনি শহরটিতে তার পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন