ডিসি-তে বাড়ছে বাড়ি বিক্রির হিড়িক, চাকরি হারানোর শঙ্কায় হাজারো কর্মী!

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি-সহ আশেপাশের অঞ্চলে বাড়ির বাজারে সম্প্রতি বেশ অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।

ফেডারেল সরকারের কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে এখানে বাড়ির বিক্রি বাড়ছে, এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে।

রিয়েল এস্টেট বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট, রেডফিন-এর তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসের শেষের চার সপ্তাহে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই অঞ্চলে বাড়ির তালিকাভুক্তির সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মূল কারণ হলো, মার্কিন সরকারের কর্মীবাহিনীতে ব্যাপক কাটছাঁট।

এলন মাস্কের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (DOGE)-এর মাধ্যমে সরকারি ব্যয় কমানোর চেষ্টা চলছে, যার ফলস্বরূপ বহু কর্মী চাকরি হারাচ্ছেন।

এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে বাড়ির বাজারে।

ওয়াশিংটন ডিসির আশেপাশে অবস্থিত শহরতলীতে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।

ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়া শহরে বাড়ির তালিকা প্রায় ৪১ শতাংশ বেড়েছে, যা রেডফিন-এর বিশ্লেষণ করা এলাকাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

মেরিল্যান্ডের মন্টগোমারি কাউন্টিতে বাড়ির তালিকা ৩৮.৫ শতাংশ এবং ভার্জিনিয়ার লাউডাউন কাউন্টিতে প্রায় ৩৬.৮ শতাংশ বেড়েছে।

অবশ্য, স্থানীয় রিয়েল এস্টেট এজেন্টরা বলছেন, নতুন বাড়ির তালিকা বাড়লেও বাজারের অবস্থা এখনো ততটা সহজ নয়।

তাদের মতে, চাহিদা এখনো বেশ ভালোই আছে, তাই বিক্রি হওয়া বাড়ির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, শুধু এপ্রিল মাসেই ফেডারেল সরকার ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে।

এছাড়া, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার সরকারি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।

ফেডারেল কর্মীদের চাকরি হারানোর পেছনে ‘ডগ’ (DOGE)-এর ‘buyout’ অফার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অনেক কর্মী এই অফার গ্রহণ করেছেন, কিন্তু তারা এখনো সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সরকারি বেতনভুক্ত থাকায় সরকারি বেকারের তালিকায় তাদের নাম যুক্ত হয়নি।

এর ফলে, প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলোর তুলনায়, ওয়াশিংটন ডিসিতে ফেডারেল কর্মীর সংখ্যা আনুপাতিক হারে বেশি।

এখানকার মোট কর্মসংস্থানের ১৩ শতাংশের বেশি ফেডারেল সরকারি চাকরি।

ফলে, সরকারি কর্মীদের চাকরিচ্যুতির সরাসরি প্রভাব পড়ছে আবাসন খাতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে বাড়ির দামের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

তবে, বাজারের গতিপ্রকৃতি বুঝতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *