শিরোনাম: আমেরিকায় আইরিশ ব্যবসায়ীর মৃত্যু: স্ত্রী ও শ্বশুর স্বেচ্ছায় মানুষ হত্যার দায় স্বীকার
২০১৫ সালের আগস্ট মাসের এক ভোরে, উত্তর ক্যারোলিনার একটি বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। আইরিশ ব্যবসায়ী জেসন করবettকে তাঁর স্ত্রী, মলি মার্টেন্স এবং তাঁর বাবা, থমাস মার্টেন্স-এর দ্বারা হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
এই ঘটনার সূত্র ধরে, একটি চাঞ্চল্যকর মামলার জন্ম হয়, যা পরবর্তীতে ‘এ ডেডলি আমেরিকান ম্যারেজ’ নামে একটি তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন জেসন করবett-কে তাঁর বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তাঁর শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পুলিশের কাছে খবর যায় যে, মলি মার্টেন্স ও তাঁর বাবা, জেসনের উপর হামলা চালিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, আত্মরক্ষার স্বার্থে এই কাজ করতে তাঁরা বাধ্য হয়েছিলেন।
তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, জেসন তাঁদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছিলেন।
তবে, জেসন করবett-এর পরিবার এই ঘটনায় ভিন্নমত পোষণ করে। তাঁদের মতে, জেসনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তাঁদের ধারণা ছিল, জেসন তাঁর সন্তানদের নিয়ে আয়ারল্যান্ডে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন, যা মলি ও তাঁর বাবার মনঃপূত ছিল না। জেসনের পরিবারের সদস্যরা জানান, মলি তাঁর সন্তানদের দত্তক নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জেসন রাজি হননি।
মামলার শুনানিতে, মলি এবং থমাসকে প্রথমে দ্বিতীয়-ডিগ্রি হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
যদিও, পরবর্তীতে আদালতের রায়ে কিছু ত্রুটি ধরা পড়ায়, তাঁদের আপিল মঞ্জুর করা হয়। এরপর, ২০২৩ সালে তাঁরা স্বেচ্ছায় মানুষ হত্যার দায় (voluntary manslaughter) স্বীকার করেন।
এর ফলে তাঁদের কারাদণ্ডের মেয়াদ কিছুটা কমানো হয়।
এই মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ছিল। ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
তথ্যচিত্রে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, যেমন – মলি মার্টেন্স, থমাস মার্টেন্স এবং জেসন করবett-এর পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
এই মামলার মূল বিষয়গুলো হল পারিবারিক কলহ, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষা।
জেসন করবett-এর মৃত্যুর পর, তাঁর সন্তান জ্যাক করবett লিন্চ এবং সারা করবett লিন্চ-কে নিয়ে শুরু হয় নতুন জীবন। তাঁরা বর্তমানে আয়ারল্যান্ডের লিমেরিকে তাঁদের মাসির কাছে বসবাস করছেন।
এই মামলার রায় এবং এর পরবর্তী ঘটনাগুলো আজও অনেকের মনে গভীর রেখাপাত করে।
তথ্য সূত্র: পিপল