মৃত্যু তার সাজে: ব্রডওয়ের আলোড়ন সৃষ্টিকারী সিমার্ডের বিস্ফোরক রূপ!

ব্রডওয়ে-এর মঞ্চে আলো ছড়াচ্ছেন জেনিফার সিমার্ড, ‘ডেথ বিকামস হার’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে তিনি যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন।

নিউ ইয়র্ক সিটির বিখ্যাত এই থিয়েটার পাড়ায়, যেখানে সারা বিশ্ব থেকে আসা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাদের প্রতিভা দেখান, সেখানে সিমার্ড এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

‘ডেথ বিকামস হার’ -এ হেলেন শার্প চরিত্রে তার অনবদ্য অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের মুগ্ধ করেছে।

‘ডেথ বিকামস হার’ মূলত ১৯৯২ সালের একই নামের একটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।

মার্কো পেনেটের লেখা এই নাটকের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন জুলিয়া ম্যাটিসন এবং নোয়েল কেরি।

ক্রিস্টোফার গাটেల్లి’র পরিচালনায়, এই মিউজিক্যালটিতে মেগান হিলটি’কে দেখা যায় ম্যাডেলিন অ্যাশটনের চরিত্রে।

নভেম্বরে ব্রডওয়ে-তে এটির উদ্বোধনের পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই নাটক।

এই নাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জেনিফার সিমার্ড জানান, হেলেন শার্পের চরিত্রটি তার কাছে এক নতুন ‘পুনর্জন্মের’ মতো।

তিনি বলেন, “হেলেন-এর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে আমি যেন আমার ভেতরের শক্তিকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি।

এই চরিত্রটি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, বিশেষ করে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে।

নিজের এই ‘পুনর্জন্মের’ অনুভূতি উদযাপন করতে, ৫৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী একটি বিশেষ ফটোশুটে অংশ নিয়েছিলেন।

বডি পেইন্ট শিল্পী রায়ান জ্যাকসন এবং আলোকচিত্রী সারা জেনকিন্সের সঙ্গে মিলে তিনি তৈরি করেন এক ব্যতিক্রমী চিত্র।

ছবিতে, সিমার্ডের শরীরে আগুনের শিখা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যা তার ভেতরের আবেগ এবং শক্তির প্রতীক।

সিমার্ড আরও যোগ করেন, “হেলেন চরিত্রটি আমার কাছে শুধু একটি অভিনয় নয়, বরং জীবনের প্রতিচ্ছবি।

এই চরিত্রটি আমাকে শিখিয়েছে, জীবনের কঠিন সময়েও কীভাবে নিজের ভেতরের আগুনকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়।

বর্তমানে, ‘ডেথ বিকামস হার’-এর টিকিট বিক্রি হচ্ছে এবং যারা এখনও দেখেননি, তাদের জন্য এটি একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।

ব্রডওয়ের এই সফল প্রযোজনা দর্শকদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যা জেনিফার সিমার্ডের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *