গভীর নকল ভিডিওর শিকারদের জন্য আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন থেকে, অনুমতি ছাড়া তৈরি করা নগ্ন বা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ ছবি বা ভিডিও অনলাইনে ছড়ানো একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘টেক ইট ডাউন অ্যাক্ট’ নামক একটি বিলের অনুমোদন দিতে যাচ্ছেন। এই আইনের ফলে ভুক্তভোগীরা দ্রুত আইনি সহায়তা পাবেন এবং প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের উপর আপলোড হওয়া আপত্তিকর ছবি বা ভিডিওগুলো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।
এই নতুন আইনটি মূলত আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা গভীর নকল ছবি বা ভিডিওর বিস্তার রোধ করতে সহায়ক হবে। বর্তমানে, প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে, কারও মুখ ব্যবহার করে নগ্ন বা অশ্লীল ছবি তৈরি করা খুবই সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ধরনের deepfake ভিডিওর শিকার হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে, যেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ এবং তারকারাও রয়েছেন।
এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো, ভুক্তভোগীদের সম্মান রক্ষা করা এবং তাদের জন্য দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। টেক ইট ডাউন অ্যাক্ট এর মাধ্যমে, ভুক্তভোগীরা তাদের সম্মানহানির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
একইসঙ্গে, প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যবহারকারীদের আপত্তিকর কন্টেন্ট আপলোড করার ক্ষেত্রে আরও কঠোর হতে হবে। আইনটি কার্যকর হলে, এই ধরনের ছবি বা ভিডিও শেয়ার করলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্ল্যাটফর্মগুলোকেও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ডিজিটাল জগতে নারীদের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিলটি কংগ্রেসের উভয় কক্ষে প্রায় সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে, যা এর গুরুত্ব প্রমাণ করে।
মেটা, টিকটক এবং গুগল সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানিও এই আইনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
এই আইনের ফলে, অনলাইনে হয়রানির শিকার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, তাদের অধিকার সুরক্ষিত এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করতে হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন