মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেete হেগসেথ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওটিতে খ্রিস্টান জাতীয়তাবাদী একটি চার্চের ধর্মযাজকদের বক্তব্য ছিল, যেখানে নারীদের ভোটাধিকারের বিরোধিতা করা হয়েছে। এই ঘটনা আমেরিকান সমাজে নারী অধিকার এবং ধর্ম-রাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে হেগসেথের করা এই পোস্টটি মূলত সমালোচিত হয়েছে, কারণ তিনি এমন একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে নারীদের ভোটাধিকারের বিরোধীতা করা হয়েছে। ভিডিওটিতে কেন্টাকির একটি চার্চের ধর্মযাজকদের বক্তব্য ছিল। তারা নারীদের ভোট দেওয়ার অধিকার বাতিলের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। ভিডিওতে আরও শোনা যায়, আদর্শ পরিস্থিতিতে পরিবারের প্রধান হিসেবে পুরুষের ভোট দেওয়া উচিত।
হেগসেথের এই পোস্টে অনেকে তাঁর সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন, আবার অনেকে এর তীব্র সমালোচনা করেছেন। সমালোচকদের মতে, হেগসেথ এর মাধ্যমে খ্রিস্টান জাতীয়তাবাদী ধারণাকে সমর্থন করছেন। এই ঘটনার পরে অনেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ম ও রাজনীতির সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন।
পেন্টাগন সূত্রে জানানো হয়েছে, হেগসেথ ওই চার্চের সঙ্গে যুক্ত এবং তিনি ওই ধর্মযাজকদের লেখনি ও বক্তব্যকে সম্মান করেন। মে মাসে, হেগসেথ তাঁর ব্যক্তিগত ধর্মযাজক ব্রুকস পটিগারকে পেন্টাগনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং সরকারি ভবনে খ্রিস্টান প্রার্থনা সভার আয়োজন করেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হেগসেথের এই পদক্ষেপ বিতর্কিত। কারণ এর মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে ধর্মের একটি সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। অনেকে একে ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবেও দেখছেন। এই ঘটনা মার্কিন সমাজে নারী অধিকার এবং ধর্ম-রাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে চলা বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘটনা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এখানেও বিভিন্ন সময়ে নারী অধিকার এবং ধর্মীয় অনুশাসন নিয়ে বিতর্ক দেখা যায়। তাই, হেগসেথের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের মানুষের কাছেও একটি আলোচনার বিষয় হতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস