ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং-৭১৭ বিমান জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়, যখন এর সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার নামানো সম্ভব হয়নি। গত ২৮শে জুন, ২০২৩ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের শার্লট ডগলাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটে।
সৌভাগ্যবশত, বিমানের ৯৯ জন যাত্রী ও পাঁচ জন ক্রু’র কেউই আহত হননি। বিমানটি নিরাপদে রানওয়েতে অবতরণ করতে সক্ষম হয়, তবে এর সামনের অংশ রানওয়ের সঙ্গে ঘর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, ল্যান্ডিং গিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যাকে ‘আপার লক লিঙ্ক’ বলা হয়, সেখানে ফাটল দেখা দেয়। এই যন্ত্রাংশটি বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের কাঠামোকে সহায়তা করে।
জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (National Transportation Safety Board – NTSB) তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ধাতব দুর্বলতার কারণে এই ফাটল ধরেছিল। যন্ত্রাংশটিতে ঘর্ষণের চিহ্ন ছিল, যা সম্ভবত মেরামত বা ঘষার সময় তৈরি হয়েছিল এবং এটিই ফাটল শুরুর কারণ হয়।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, বিমানের প্রস্তুতকারক বোয়িং এবং ম্যাকডনেল ডগলাস ২০০১ সালে এই ধরনের যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করার জন্য একটি সতর্কতা জারি করেছিল। এই সতর্কবার্তায় যন্ত্রাংশগুলোতে কোনো ত্রুটি বা অমসৃণতা আছে কিনা, তা ভালোভাবে দেখতে বলা হয়েছিল।
যদিও এই ‘আপার লক লিঙ্ক’-টি ২০০৯ সালে একবার পরীক্ষা করা হয়েছিল, কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের সময় প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই যন্ত্রাংশটি ৪১,২৫৭ বার উড্ডয়ন ও অবতরণ সম্পন্ন করার পর ভেঙে যায়। দুর্ঘটনার পর, বোয়িং-৭১৭ বিমানের অন্যান্য ‘লক লিঙ্ক’গুলোও পরীক্ষা করা হয়, তবে নতুন করে কোনো ফাটল পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার পর বিমান সংস্থাগুলো তাদের বিমানের রক্ষণাবেক্ষণে আরও বেশি মনোযোগ দেবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিমানযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা প্রোটোকলগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করা জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন