মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটিক পার্টির জনপ্রিয়তা বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সম্প্রতি, সিএনএন-এর জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে দেখা গেছে, দলটির প্রতি জনগণের সমর্থন কমে যাওয়ার পেছনে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
এর মধ্যে দলের ভেতরের অসন্তোষ এবং রিপাবলিকানদের নীতি রুখতে না পারার মতো বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
জরিপ অনুযায়ী, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি মাত্র ২৯ শতাংশ মার্কিনি ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। সিএনএন ১৯৯২ সাল থেকে জনমত জরিপ শুরু করার পর এটি দলটির জন্য সর্বনিম্ন রেকর্ড।
অন্যদিকে, রিপাবলিকান পার্টির প্রতি সমর্থন রয়েছে ৩৬ শতাংশ মানুষের। বিশ্লেষকদের মতে, এই ফলাফলের মূল কারণ হলো ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতরের বিভেদ।
দলের অনেক সমর্থক মনে করেন, তাঁদের নেতারা রিপাবলিকানদের মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ (৫৭%) মনে করেন, ডেমোক্রেটদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত রিপাবলিকানদের পরিকল্পনা রুখে দেওয়া।
যদিও, ৪২ শতাংশ চান, কিছু ক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের সঙ্গে সহযোগিতা করা হোক, যাতে কিছু ডেমোক্রেটিক নীতি বাস্তবায়িত হতে পারে।
তবে, দলের নেতৃত্ব বর্তমানে যে পথে হাঁটছে, সেই বিষয়েও অনেকে অসন্তুষ্ট। ৫২ শতাংশ ডেমোক্রেট মনে করেন, দল ভুল পথে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির এই অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের এক জরিপে দেখা গিয়েছিল, ডেমোক্রেট ও তাঁদের সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে ৭৪ শতাংশ রিপাবলিকানদের সঙ্গে কাজ করার পক্ষে ছিলেন, যাতে তাঁদের নীতিগুলো বাস্তবায়িত হতে পারে।
তবে, বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন।
জরিপে বিভিন্ন ডেমোক্রেটিক নেতার নাম উঠে এসেছে, যাঁদের দলের আদর্শের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
তাঁদের মধ্যে আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ, কমলা হ্যারিস, বার্নি স্যান্ডার্স এবং হাকিম জেফ্রিসের নাম উল্লেখযোগ্য। তবে, দলের সুস্পষ্ট কোনো নেতাকে ট্রাম্পের বিপরীতে শক্তিশালী হিসেবে তুলে ধরা যাচ্ছে না।
জরিপে অংশ নেওয়া ১,২০৬ জন মার্কিনীর মধ্যে এই চিত্র পাওয়া গেছে। জরিপটি পরিচালনা করেছে এসএসআরএস (SSRS) এবং এটি ৬ থেকে ৯ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন