ট্রাম্পের কাছে প্রশ্ন, বিপন্ন প্রজাতিদের বাঁচাতে কী পদক্ষেপ?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বিপন্ন প্রজাতির রক্ষার বিদ্যমান আইন দুর্বল করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের একটি প্রস্তাবিত পদক্ষেপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডেমোক্রেটিক দলের তিনজন প্রভাবশালী সিনেটর। সিনেটর অ্যাডাম স্কিফ, শেল্ডন হোয়াইটহাউস এবং কোরি বুকার এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং প্রস্তাবিত পরিবর্তনের বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

তাদের আশঙ্কা, এই পরিবর্তনের পেছনে শিল্পখাতের প্রভাব থাকতে পারে।

প্রকৃতপক্ষে, বিষয়টির কেন্দ্রবিন্দু হলো ‘বিপন্ন’ প্রজাতির সংজ্ঞা পরিবর্তন করা। বিদ্যমান আইনে, কোনো প্রাণীর বাসস্থান পরিবর্তন বা ধ্বংস করা হলে, তাকে ‘ক্ষতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু প্রস্তাবিত পরিবর্তনের ফলে, আবাসস্থল পরিবর্তনকে আর ক্ষতির আওতায় রাখা হবে না।

পরিবেশবিদরা বলছেন, এর ফলে শিল্প, নির্মাণ এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজগুলো নির্বিঘ্নে চলতে পারবে, যা বিপন্নপ্রায় প্রজাতি, যেমন ফ্লোরিডার প্যান্থার এবং স্পটেড আউলের বিলুপ্তির ঝুঁকি বাড়াবে।

সিনেটরদের উদ্বেগের কারণ হলো, এই পরিবর্তনের ফলে যারা কোনো বিপন্ন প্রজাতির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কাজ করেনি, তারাও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার পেয়ে যেতে পারে। তারা মনে করেন, এর মাধ্যমে কার্যত ‘বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণ আইন’-কে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সিনেটরদের মতে, কোনো প্রজাতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে, তার নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

সিনেটরগণ প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছেন, কিভাবে তারা এই আইনের প্রয়োগ করবে, বিশেষ করে যখন সরকারি কর্মকর্তাদের ছাঁটাই এবং বিভিন্ন সংস্থার তহবিল কমানোর প্রক্রিয়া চলছে। তারা আশঙ্কা করছেন, এমন পদক্ষেপের ফলে পরিবেশ রক্ষার কাজটি দুর্বল হয়ে পড়বে।

বর্তমানে প্রস্তাবিত পরিবর্তনটির ওপর জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য ৩০ দিনের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। পরিবেশ বিষয়ক কর্মীরা জানিয়েছেন, এই প্রস্তাব কার্যকর হলে, তারা এর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিনেটরদের চিঠি পর্যালোচনা করবে, তবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *