ডেমোক্রেটদের সেনেট দখলের লড়াই: কোন রাজ্যে কেমন চাঞ্চল্য?

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন সিনেট নির্বাচন: ডেমোক্র্যাটদের চ্যালেঞ্জ, রিপাবলিকানদের কৌশল

আগামী ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কিন সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের লক্ষ্যে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দল উভয়ই কোমর বেঁধে নেমেছে।

এই নির্বাচনে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সাবেক নর্থ ক্যারোলিনার গভর্নর রয় কুপারের সিনেটে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণার মধ্য দিয়ে ডেমোক্র্যাটরা যেন কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।

ডেমোক্রেটদের প্রধান লক্ষ্য হল রিপাবলিকানদের দখলে থাকা অন্তত চারটি আসন পুনরুদ্ধার করা। সেই লক্ষ্যে তারা মেইন, আইওয়া এবং টেক্সাসের মতো রাজ্যে শক্তিশালী প্রার্থী খুঁজছে।

একইসঙ্গে জর্জিয়া, মিশিগান, মিনেসোটা এবং নিউ হ্যাম্পশায়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে তাদের আসন ধরে রাখতে হবে। এই রাজ্যগুলোতে ডেমোক্রেটদের বর্তমান সিনেটররা হয়তো নির্বাচনে লড়বেন না, অথবা তাদের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হতে হবে।

মিশিগানের পরিস্থিতি নিয়ে ডেমোক্র্যাট শিবিরে উদ্বেগ সবচেয়ে বেশি। কারণ, এখানে রিপাবলিকানরা তাদের প্রার্থী হিসেবে সাবেক কংগ্রেসম্যান মাইক রজার্সকে সমর্থন জানাচ্ছে।

অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে কংগ্রেসের সদস্য হ্যালি স্টিভেন্স, রাজ্য সিনেটর ম্যালোরি ম্যাকমোরো এবং সাবেক গভর্নatorial প্রার্থী আবদুল এল-সায়েদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ নেতারা মনে করেন, হ্যালি স্টিভেন্স নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারেন।

টেক্সাসে রিপাবলিকানদের মধ্যে সিনেটর জন কর্নিন এবং তার রক্ষণশীল প্রতিপক্ষ কেন প্যাক্সটনের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। ডেমোক্র্যাটরা মনে করে, রিপাবলিকান প্রাইমারিতে প্যাক্সটন জিতলে সাধারণ নির্বাচনে তাকে হারানো সহজ হবে।

এখানে সাবেক কংগ্রেসম্যান কলিন অলরেড এবং বেটো ও’রৌর্কের মতো প্রার্থীরাও ডেমোক্রেট দলের হয়ে সিনেট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

অন্যদিকে, ওহাইও এবং আইওয়া রাজ্যেও ডেমোক্র্যাটরা ভালো ফল করার আশা করছে। তবে এখানে তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে বিভিন্ন প্রার্থীর সিদ্ধান্তের ওপর। আইওয়াতে সিনেটর জনি আর্নস্টের নির্বাচন করা না করার সিদ্ধান্তের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

আলাস্কা রাজ্যের পরিস্থিতিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ডেমোক্র্যাটরা সাবেক কংগ্রেসম্যান মেরি পেলটোলার সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে। যদি তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে রিপাবলিকান সিনেটর ড্যান সুলিভানের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সিনেট নির্বাচন শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনীতির হিসাব-নিকাশ নয়, বরং এর আন্তর্জাতিক প্রভাবও অনেক। এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক, বাণিজ্য এবং পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *