ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্তিস এবং তাঁর স্ত্রী, কেইসি ডেসান্তিসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা একটি অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, কেইসির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ‘হোপ ফ্লোরিডা’-র জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের অপব্যবহার করা হয়েছে। এই ঘটনায় রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে এবং ডেসান্তিস দম্পতির ক্ষমতা কমে আসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, ‘হোপ ফ্লোরিডা’ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত একটি ফাউন্ডেশনে একটি বিতর্কিত উপায়ে রাজ্যের সরকারি তহবিল থেকে ১ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ১১০ কোটি বাংলাদেশি টাকা) স্থানান্তর করা হয়। এই অর্থ পরে এমন দুটি সংস্থাকে দেওয়া হয়, যারা ডেসান্তিসের একটি রাজনৈতিক প্রচারণাকে সমর্থন করেছিল।
এই ঘটনা নিয়ে ফ্লোরিডার আইনপ্রণেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা এর তদন্ত শুরু করেছেন।
এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন ফ্লোরিডার সরকার একটি সরকারি স্বাস্থ্য বীমা প্রদানকারী সংস্থার সাথে হওয়া একটি চুক্তির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি ডলার পায়। চুক্তি অনুযায়ী এই অর্থ ‘হোপ ফ্লোরিডা’ ফাউন্ডেশনে জমা করার কথা ছিল।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এই অর্থ পরিকল্পিতভাবে এমন কিছু সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে যারা ডেসান্তিসের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করে।
ফ্লোরিডার রিপাবলিকান পার্টির অনেক প্রভাবশালী সদস্য বর্তমানে ডেসান্তিস দম্পতির থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। এমনকি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কিছু ব্যক্তিও এই বিতর্কের সুযোগ নিচ্ছেন এবং ডেসান্তিসের বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা ডেসান্তিসের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
অন্যদিকে, কেইসি ডেসান্তিসও তার স্বামীর উত্তরসূরি হিসেবে ফ্লোরিডার গভর্নরের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু এই অর্থ কেলেঙ্কারির কারণে তার সেই পরিকল্পনাও এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
কারণ, এই ঘটনায় তার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাজনৈতিক সমর্থন কমে গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে ডেসান্তিস দম্পতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া। তাদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে না পারলে, ফ্লোরিডার রাজনীতিতে তাদের ভবিষ্যৎ কঠিন হয়ে পড়বে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন