ফের কি উড়বে বাস্কেটবল? পুরনো দিনের ছোঁয়া খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে ডেট্রয়েট পিস্টনসে!

**ডেট্ৰয়েট পিস্তন্স: এক দশকের হতাশা ঝেড়ে সাফল্যের পথে, প্রাক্তন তারকার চোখে নতুন দিনের আভাস**

দীর্ঘ এক দশক ধরে বাস্কেটবলের ময়দানে পিছিয়ে থাকার পর, আবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে ডেট্রয়েট পিস্তন্স। এক সময়ের সফল এই দলের প্রাক্তন তারকা খেলোয়াড় রিচার্ড “রিপ” হ্যামিল্টন মনে করেন, বর্তমান দলের মধ্যে তার পুরনো দিনের চ্যাম্পিয়ন দলের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে।

পিস্তন্সের সোনালী সময়ে, হ্যামিল্টন ছিলেন দলের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড়। ২০০৩-০৪ মৌসুমে পিস্তন্স যখন এনবিএ চ্যাম্পিয়ন হয়, সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হ্যামিল্টন জানান, বর্তমান পিস্তন্স দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই পুরনো দিনের লড়াকু মানসিকতা এবং কঠিন পরিশ্রমের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তার মতে, ডেট্রয়েটের সমর্থকেরা সহজে হাল ছাড়েন না, তাই দলের খেলোয়াড়দেরও মানসিক দিক থেকে শক্তিশালী হতে হয়।

এই মুহূর্তে ডেট্রয়েট পিস্তন্স প্লে অফের লড়াইয়ে নেমেছে। নিউ ইয়র্ক নিক্সের বিরুদ্ধে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় পেয়েছে, যা প্রমাণ করে দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্লে অফে জয়ের খরা কাটিয়ে উঠেছে তারা। হ্যামিলটনের মতে, বর্তমান দলের খেলোয়াড়রা তাদের শহরের সংস্কৃতিকে ধারণ করে এবং ডেট্রয়েটের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে প্রস্তুত।

২০০৭-০৮ মৌসুমে বোস্টন সেল্টিক্সের কাছে ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে হারের পর পিস্তন্সের পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েছিল। এরপর দল প্লে অফে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। তবে, হ্যামিলটনের বিশ্বাস, এবার সবকিছু বদলে যাচ্ছে। তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে দলটা নতুন করে সাজানো হয়েছে এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তির ফলে দলের ভারসাম্য ফিরে এসেছে।

পিস্তন্সের ঘরের মাঠ এখন ‘লিটল সিজার্স অ্যারেনা’। হ্যামিল্টন মনে করেন, শহরের কেন্দ্রস্থলে খেলাটা খেলোয়াড়দের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে তারা ডেট্রয়েটের মানুষের আবেগ এবং ভালোবাসার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারে। শহরের মানুষেরা তাদের খেলোয়াড়দের কতটা ভালোবাসে, তা তিনি কাছ থেকে দেখেছেন।

নিউ ইয়র্ক নিক্সের বিরুদ্ধে প্লে অফের লড়াইয়ে পিস্তন্সকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে, হ্যামিল্টন মনে করেন, দলের তরুণ খেলোয়াড়েরা তাদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। তাদের গড় বয়স ২৫.৮ বছর। ডেট্রয়েটের সমর্থকেরা তাদের উপর বিশ্বাস রেখেছে এবং তাদের সমর্থন জোগাচ্ছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *