মিলennium ডোম ডাকাতি: এক ভয়ংকর হীরার k চুরির গল্প!

শিরোনাম: মিলেনিয়াম ডোম-এর হীরা চুরি: এক চাঞ্চল্যকর তথ্যচিত্র

২০০০ সালের শুরুতে লন্ডনের মিলেনিয়াম ডোম-এ (বর্তমান ও২ এরিনা) সংঘটিত হওয়া একটি ব্যর্থ হীরা চুরির ঘটনার ওপর নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্র ‘দ্য ডায়মন্ড হেইস্ট’। এই তথ্যচিত্রে কুখ্যাত অপরাধীদের দুঃসাহসিক পরিকল্পনা এবং পুলিশের তৎপরতা তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

মূলত, এই চুরির মূল লক্ষ্য ছিল ২০০ ক্যারেটের ‘মিলেনিয়াম স্টার’ নামক একটি হীরক খণ্ড, যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড। এই বিশাল মূল্যের হীরাটি সুরক্ষিত ছিল কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে।

ডকুমেন্টারিটিতে ঘটনার পেছনের গল্প বলার পাশাপাশি, কিভাবে অপরাধীরা এই অসম্ভব কাজটি করার পরিকল্পনা করেছিল, তা বিস্তারিতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

তথ্যচিত্রটিতে অপরাধ জগতের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র লি ওয়েনহামকে কেন্দ্র করে ঘটনার শুরু হয়। ওয়েনহাম ছিলেন একজন কুখ্যাত অপরাধী, যিনি তার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অল্প বয়সেই অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন।

তিনি সিগারেট চোরাচালান এবং ব্যাংক থেকে অর্থ লুটের মতো কাজ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতেন। তবে, তার আকাঙ্ক্ষা ছিল আরও বড় কিছু করার।

এরপর তিনি রে বেটসন নামের একজন প্রভাবশালী গ্যাংস্টারের সঙ্গে হাত মেলান, যিনি এই হীরা চুরির পরিকল্পনা করেন।

ডকুমেন্টারিতে দেখানো হয়, কীভাবে তারা ডোম-এর নিরাপত্তা দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে এবং চুরির পরিকল্পনা করে। তাদের দলে ছিল অভিজ্ঞ সব অপরাধী, যারা এই কঠিন কাজটি সফল করার জন্য দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যায়।

তারা প্রথমে ডোম-এর ভেতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে এবং এরপর হীরাগুলো সরানোর জন্য উপযুক্ত একটি কৌশল তৈরি করে।

অন্যদিকে, এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন পুলিশের একটি বিশেষ দল, ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’। ডকুমেন্টারিতে তাদের অভিযান এবং অপরাধীদের ধরার জন্য চালানো বিভিন্ন কৌশলও তুলে ধরা হয়েছে।

ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, পুলিশ কীভাবে অপরাধীদের ওপর নজর রেখেছিল এবং তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার জন্য কাজ করেছিল, তা দর্শকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা হয়েছে।

‘দ্য ডায়মন্ড হেইস্ট’ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন অস্কার ও এমি পুরস্কার বিজয়ী প্রতিষ্ঠান লাইটবক্স। তথ্যচিত্রটির পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন গাই রিচি।

ডকুমেন্টারিটির নির্মাণশৈলীও বেশ আকর্ষণীয়। দ্রুতগতির দৃশ্য, বিভিন্ন ঘটনার সমন্বয় এবং গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে গল্পের গভীরতা দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

এই তথ্যচিত্রটি নেটফ্লিক্সে দেখা যাচ্ছে। যারা ক্রাইম-বিষয়ক গল্প পছন্দ করেন, তাদের জন্য ‘দ্য ডায়মন্ড হেইস্ট’ হতে পারে একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতা।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *