দিদির সহযোগী: কম্বস মামলায় কোররামের ভূমিকা, ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য!

**শীন ‘ডিডি’ কম্বস মামলায় সাবেক চিফ অফ স্টাফ ক্রিস্টিনা খোররামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ**

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গীত শিল্পী ও প্রযোজক শীন ‘ডিডি’ কম্বসের বিরুদ্ধে চলমান যৌন হয়রানি ও মানব পাচার মামলার শুনানিতে তাঁর সাবেক চিফ অফ স্টাফ ক্রিস্টিনা খোররামের (কে কে) নাম নতুন করে আলোচনায় এসেছে। আদালতের নথি ও সাক্ষীদের বয়ানে খোররামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে, যেখানে তাঁকে কম্বসের সহযোগী এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলার শুনানিতে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, খোররামকে কম্বসের মাদক পাচারে সহায়তা করা, প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাসি ভেনচুরার গতিবিধি নজরে রাখা এবং তাঁর ওপর হওয়া শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতে সাহায্য করার মতো গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়াও, হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার জন্য এক লাখ ডলারের বেশি অর্থ পরিশোধের অভিযোগও রয়েছে।

আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানা যায়, ২০১৬ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হোটেলে ঘটে যাওয়া ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের জন্য খোররাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে জানা যায়, তিনি বারবার হোটেল নিরাপত্তা বিভাগে ফোন করেন এবং এমনকি ফুটেজ হস্তান্তরের জন্য সরাসরি হোটেলে উপস্থিত হয়েছিলেন।

সাবেক কর্মীদের দেওয়া সাক্ষ্যে আরও জানা যায়, খোররাম নাকি কম্বসের জন্য নিয়মিতভাবে বিশেষ সামগ্রী—যেমন মোমবাতি, মদের বোতল, বেবি অয়েল এবং অ্যাস্ট্রো-গ্লাইড—সংগ্রহ করতেন। এছাড়া, ‘ডিডি’র প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাসির সঙ্গে খোররামের কথোপকথন থেকে জানা যায়, কম্বস তাঁর বন্ধু ও স্টাইলিস্ট ব্রায়ানা বংগোলানকে মারধর করেছিলেন এবং ব্যালকনি থেকে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

আদালতে এখনও পর্যন্ত খোররামকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়নি। তবে, তাঁর আইনজীবী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যদিকে, খোররামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কম্বস। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে দেওয়ানি মামলা চলছে। কম্বসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—ষড়যন্ত্র, মানব পাচার এবং যৌন ব্যবসার উদ্দেশ্যে নারী পাচার।

আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানা যায়, খোররাম নাকি কম্বসের হয়ে মাদক সরবরাহ করতেন। এমনকি, ‘জে’ নামে এক সাক্ষী জানিয়েছেন, খোররাম তাঁকে বিমানের মাধ্যমে মাদক পরিবহনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এছাড়া, কম্বসের অনুরোধে তিনি ‘জে’-এর দাঁতের চিকিৎসা এবং স্তনবৃন্ত ছিদ্র করার ব্যবস্থা করেছিলেন।

সাক্ষীরা আরও জানিয়েছেন, খোররাম কম্বসের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতেন। কম্বসের ব্যবসায়িক কাজকর্মের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তাঁর প্রভাব ছিল।

বর্তমানে, এই মামলার শুনানি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *