শিরোনাম: ডিডি কম্বসের বিরুদ্ধে মামলার শুনানিতে বিস্ফোরক তথ্য, হোটেল কক্ষে মাদক ও নগদ অর্থ উদ্ধারের প্রমাণ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গীত শিল্পী শন “ডিডি” কম্বসের বিরুদ্ধে চলমান যৌন পাচার মামলার শুনানিতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের স্বপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে জমা দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পার্ক হায়াত নিউ ইয়র্ক হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে তার ঘর থেকে বেবি অয়েল, গোলাপি রঙের কেটামিন ও এমডিএমএ (MDMA) এবং ৯ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার, ১৬ই মে তারিখে শুনানিতে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ছবিগুলো উপস্থাপন করা হয়, যেখানে ডিডি কম্বসের হোটেল কক্ষের ভেতরের দৃশ্য দেখা যায়। যৌন পাচার, ব্ল্যাকমেইলিং এবং পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ডিডি কম্বস শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
আদালতে পেশ করা প্রমাণ অনুযায়ী, হোটেল কক্ষের একটি আলমারির ভেতরে পাওয়া যায় বেবি অয়েলের একটি বোতল এবং আরও একটি লুব্রিকেন্ট, যার নাম অ্যাস্ট্রোগ্লাইড। এছাড়া, একটি হার্ড ড্রাইভের পাশাপাশি, ঘরের লিভিং রুমে বিশেষ ‘মুড লাইটিং’-এর জন্য ব্যবহৃত একটি ‘আলোর ডিভাইস’-এর কথাও উল্লেখ করা হয়। বাথরুমের ভেতর থেকেও বেশ কয়েকটি বেবি অয়েলের বোতল পাওয়া যায়।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির স্পেশাল এজেন্ট ইয়াসিন বিনদা, যিনি এই সবকিছুর ছবি তুলেছিলেন, তিনি সাক্ষ্য দেন যে, বেডরুমের একটি নাইটস্ট্যান্ডের ওপর একটি আইফোন, ‘ফ্রাঙ্ক ব্ল্যাক’-এর নামে লেখা একটি প্রেসক্রিপশন ও দুটি লুব্রিকেন্টের বোতল পাওয়া যায়। প্রেসক্রিপশনটিতে ক্লোনাজেপাম নামক একটি ঔষধ ছিলো, যা সাধারণত প্যানিক ডিসঅর্ডার বা কিছু খিঁচুনি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
তবে, ঔষধের বোতলের ভেতরে দুটি ব্যাগে ‘গোলাপি পাউডার’ পাওয়া যায়। পরীক্ষার পর জানা যায়, একটি ব্যাগের পাউডার ছিল কেটামিন, এবং অন্যটিতে কেটামিন ও এমডিএমএ উভয়ই পাওয়া গেছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (Drug Enforcement Administration) -এর মতে, কেটামিন হলো একটি ‘ডিসোসিয়েটিভ অ্যানেসথেটিক’, যা দৃষ্টি ও শ্রবণের অনুভূতিকে প্রভাবিত করে এবং ব্যবহারকারীকে নিয়ন্ত্রণহীন করে তোলে। এমডিএমএ একইসঙ্গে উত্তেজক ও হ্যালুসিনোজেন হিসাবে কাজ করে, যা শরীরে উদ্দীপনা তৈরি করে এবং স্পর্শের অনুভূতিকে বাড়িয়ে দেয়।
আদালতে আরও জানানো হয়, বিছানার পাশে একটি কালো ফ্যানি প্যাকের ভেতর থেকে ৯ হাজার ডলার নগদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিডি কম্বসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া চলছে।
তথ্য সূত্র: পিপল