সঙ্গীত জগতের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব শন “ডিডি” কম্বস-এর বিরুদ্ধে আনা যৌন পাচার মামলার শুনানিতে তিনি নিজে সাক্ষ্য দেবেন না। এই খবরটি বর্তমানে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা সঙ্গীত জগত সহ সারা বিশ্বের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
নিউ ইয়র্কের একটি ফেডারেল আদালতে এই মামলার বিচার চলছে এবং এতে কম্বসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কম্বস তার ক্ষমতা ব্যবহার করে নারীদের যৌন নির্যাতনের উদ্দেশ্যে পাচার করেছেন, সেইসাথে অভিযুক্তদের মুখ বন্ধ করতে এবং নিজেকে দায়মুক্ত রাখতে চেষ্টা করেছেন। আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, কম্বসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
শুনানির ষষ্ঠ সপ্তাহে, আদালতে মামলার অনেক গোপন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রসিকিউটররা একটি বিস্তারিত সময়রেখা পেশ করেছেন, যেখানে ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। তবে, এখনো পর্যন্ত কম্বসের আইনজীবীরা তাদের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেননি।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল, কম্বস নিজে আদালতে সাক্ষ্য দেবেন কিনা। অবশেষে জানা গেছে, তিনি সাক্ষ্য দেবেন না।
আদালতে ডিডি কম্বস-এর উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয় ছিল। তিনি মাঝে মাঝে উদ্বিগ্ন হয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। এমনকি বিচারকদের দিকে তাকিয়ে মুখভঙ্গি করার কারণে তাকে সতর্কও করা হয়েছিল।
মামলার শুনানিতে কম্বসের প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাসি ভেনচুরার সাক্ষ্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ১১ বছর ধরে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। এই মামলায় যৌন পাচার, চাঁদাবাজি এবং পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কম্বসের সাক্ষ্য না দেওয়ার সিদ্ধান্ত একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হতে পারে। কারণ, সাক্ষ্য দিলে তাকে জেরা করা হতো এবং তার দেওয়া বক্তব্য মামলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে প্রভাবিত করতে পারত।
বর্তমানে, কম্বসের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। তারা অভিযোগ করছেন, যারা অভিযোগ করছেন, তাদের উদ্দেশ্য খ্যাতি, অর্থ অথবা প্রতিশোধ হতে পারে।
আদালতে বিচারকদের একটি প্যানেল এই মামলার রায় দেবেন। এই প্যানেলে আটজন পুরুষ এবং চারজন নারী রয়েছেন। কম্বস তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মামলার অগ্রগতি এখনো অনিশ্চিত। প্রসিকিউটররা তাদের অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারবেন কিনা, সেটি এখন দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: পিপল