আতঙ্কে ডিডি: নির্যাতনের পর ক্যাসিকে কেন ফোন করেছিলেন?

বিখ্যাত র‍্যাপার ডিডির (Sean “Diddy” Combs) বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতনের অভিযোগের শুনানিতে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। নিউ ইয়র্কের একটি ফেডারেল আদালতে ক্যাসান্ড্রা “ক্যাসি” ভেন্টুরা নামের একজন নারী সাক্ষ্য দেন।

ক্যাসি, ডিডির প্রাক্তন বান্ধবী, আদালতে জানান যে ২০১৬ সালে একটি হোটেলে ডিডি তাকে মারধর করেছিলেন। আদালতের নথি অনুযায়ী, ঘটনার পর ডিডি ক্যাসিকে দ্রুত টেক্সট মেসেজ পাঠান এবং তাকে ফোন করার জন্য অনুরোধ করেন।

ক্যাসি জানান, মারধরের ঘটনার পরে তিনি পুলিশ আসার বিষয়টি বিশ্বাস করেননি। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই ক্যাসির অভিনীত একটি সিনেমার প্রিমিয়ারে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।

তিনি জানান, সেই সময়ে তার চোখে কালশিটে এবং ঠোঁটে আঘাত ছিল। প্রিমিয়ারে যাওয়ার সময় তিনি তা লুকানোর জন্য সানগ্লাস পরেছিলেন।

আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে ক্যাসি আরও উল্লেখ করেন যে, ডিডি প্রায় ১১ বছর ধরে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন এবং বিভিন্ন ধরনের যৌন কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছেন। ডিডি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সেপ্টেম্বর মাসে ডিডিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে যৌন পাচার, চাঁদাবাজি এবং পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

দোষী সাব্যস্ত হলে ডিডির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। আদালতে সরকারি কৌঁসুলি এমিলি জনসন জানান, ডিডি তার সহযোগী এবং কর্মীদের সহায়তায় নারীদের ফাঁদে ফেলে মাদকদ্রব্য খাইয়ে দিনের পর দিন যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করতেন।

অন্যদিকে, ডিডির আইনজীবী টেনি গেরা‌গস দাবি করেন, ক্যাসি এবং ডিডির মধ্যে সমস্ত সম্পর্ক ছিল পারস্পরিক সম্মতিতে। বর্তমানে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই মামলার রায় দ্রুতই ঘোষণা করা হতে পারে। তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *