সঙ্গীত শিল্পী ডন রিচার্ডের সাক্ষ্যে, শোন ‘ডিডি’ কম্বসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ!
নিউ ইয়র্কের একটি ফেডারেল আদালতে চলমান যৌন পাচার মামলার শুনানিতে সঙ্গীত শিল্পী ডন রিচার্ডের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রিচার্ড আদালতে জানান, তিনি শোন ‘ডিডি’ কম্বসকে তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী ক্যাসান্ড্রা ‘ক্যাসি’ ভেন্টুরার উপর শারীরিক নির্যাতন করতে দেখেছেন। এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে ডিডি তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন।
রিচার্ডের সাক্ষ্য অনুযায়ী, ডিডি কম্বস প্রায়ই ক্যাসিকে মারধর করতেন। একবার তিনি ক্যাসিকে একটি গরম কড়াই দিয়ে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন, যদিও ক্যাসি কোনোমতে নিজেকে বাঁচিয়েছিলেন। রিচার্ড আরও জানান, তিনি ডিডিকে ক্যাসিকে ঘুষি মারতে, চড় মারতে এবং গলা টিপে ধরতে দেখেছেন। এমনকি, একবার একটি রেস্টুরেন্টে ঝগড়ার সময় তিনি ক্যাসিকে পেটে ঘুষি মারতেও দেখেন। নির্যাতনের কারণে ক্যাসিকে প্রায়ই তাঁর আঘাতগুলো ঢাকতে মেকআপ, পোশাক এবং সানগ্লাস ব্যবহার করতে হতো।
ডন রিচার্ড, যিনি নিজেও ড্যানিটি কেইন নামক একটি সঙ্গীত দলের সদস্য ছিলেন, জানান, ডিডি কম্বসের কর্মীরাও এই নির্যাতনের সাক্ষী ছিলেন, কিন্তু তাঁরা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতেন না। রিচার্ডের ভাষ্যমতে, ডিডি ক্যাসিকে বলতেন যে তিনি ‘ক্যাসির মালিক’ এবং তাঁর সাফল্যের সিদ্ধান্ত ডিডি-ই নেবেন।
আদালতে ক্যাসির দেওয়া সাক্ষ্যেও উঠে আসে ডিডির নির্যাতনের চিত্র। ক্যাসির ভাষ্যমতে, ২০০৬ সালে ‘ব্যাড বয় রেকর্ডস’-এর সঙ্গে তাঁর ১০টি অ্যালবামের চুক্তি হলেও, তাঁর অ্যালবাম প্রকাশে বাধা দেন ডিডি। ক্যাসির সঙ্গীত জীবনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার পেছনে ডিডির হাত ছিল বলেও অভিযোগ করেন রিচার্ড। তিনি আরও যোগ করেন, ক্যাসি যখন গান লেখার জন্য অন্যদের সাহায্য নিতে চাইতেন, তখন ডিডি তাতে ক্ষিপ্ত হতেন।
অন্যদিকে, ডিডি কম্বস তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর আইনজীবীরা বলছেন, আইনজীবীরা ঘরোয়া সহিংসতার প্রমাণ দেখালেও, এটি কোনো ফেডারেল অপরাধ নয়।
তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস