শিরোনাম: ডিডির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলার শুনানি: সাক্ষী হতে পারেন প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাসি।
মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী শন ‘ডিডি’ কম্বসের বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর যৌন নির্যাতনের অভিযোগের মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। এই মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হতে যাচ্ছেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা, আর অ্যান্ড বি গায়িকা ক্যাসান্দ্রা ‘ক্যাসি’ ভেনচুরা।
খবর অনুযায়ী, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিডির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
সোমবার ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে শুনানির প্রথম দিনে, ২০১৬ সালের একটি হোটেলের লিফটের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হয়। যেখানে ডিডিকে ক্যাসিকে মারধর করতে দেখা গেছে।
প্রসিকিউটর এমিলি জনসন আদালতকে জানান, ডিডি কিভাবে সঙ্গীতের জগতে তাঁর প্রভাব খাটিয়ে নারীদের মাদক সেবন করাতেন এবং তাঁদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করতেন।
এমনকি তথাকথিত ‘ফ্রিক অফস’ নামক অনুষ্ঠানে পুরুষ যৌনকর্মীদেরও ব্যবহার করতেন তিনি।
ক্যাসি ভেনচুরা, যিনি এক সময় ডিডির সঙ্গে ১১ বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই মূলত এই মামলা। ২০২৩ সালে তিনি ডিডির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন, মাদক ব্যবহার, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
ক্যাসির অভিযোগ ছিল, ডিডি তাঁকে পুরুষ যৌনকর্মীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করতেন, মাদক সেবনে উৎসাহিত করতেন এবং মারধর করতেন। যদিও ডিডি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা যায়, ২০০৬ সালে ক্যাসির প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের পর ডিডি’র নজরে আসেন তিনি। ২০০৭ সালে ডিডি’র ফ্যাশন লাইন ‘শন জন’-এর মডেলও হয়েছিলেন ক্যাসি।
২০১২ সাল পর্যন্ত তাঁদের একসঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।
শুনানিতে ডিডির আইনজীবী টেনি গেরাগোস জানান, ক্যাসির সঙ্গে ডিডির দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্যাসি এক দশক ধরে প্রতিদিন এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কারণ তাঁর কাছে সেটাই ভালো মনে হয়েছিল।’
আইনজীবীর ভাষ্যমতে, সম্পর্ক ভাঙার পর ক্যাসি অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান, যিনি ডিডির ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক ছিলেন।
ডিডির বিরুদ্ধে যৌন পাচার, ব্ল্যাকমেইল এবং পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী পাচারের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
বর্তমানে ডিডিকে ব্রুকলিনের একটি ডিটেনশন কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: পিপলস