ডিডি কম্বস, যিনি বিশ্বজুড়ে ডিডি নামে পরিচিত, তার বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর অভিযোগগুলি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এই খ্যাতিমান সঙ্গীত প্রযোজক এবং উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে যৌন পাচার, ষড়যন্ত্র এবং পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলার শুনানিতে উঠে আসছে মাদক ব্যবহারের নানা দিক, যা অনেকের কাছেই চাঞ্চল্যকর।
নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে চলমান এই মামলায় ডিডির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে প্রসিকিউশন বিভিন্ন প্রমাণ উপস্থাপন করছে। তাদের দাবি, ডিডি তার কর্মীদের মাদক সরবরাহ ও বিতরণের কাজে ব্যবহার করতেন।
এমনকি, নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তিনি নাকি মাদক সরবরাহ করতেন।
অন্যদিকে, ডিডির আইনজীবী তার মক্কেলের মাদক ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন, তবে তাদের দাবি, এই মাদক ব্যবহার বর্তমান অভিযোগগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। তারা এটিকে ডিডির ব্যক্তিগত জীবন হিসেবে দেখছেন।
আইনজীবীরা বলছেন, ডিডি এর আগেও মাদক নিতেন এবং তার জীবনযাপন কিছুটা ভিন্ন ধরনের ছিল। কিন্তু এটা কোনো ফেডারেল অপরাধ নয়। তারা ডিডির হয়ে আগামী আট সপ্তাহ ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
এই মামলার শুনানিতে ডিডির প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাসিয়ে ভেনচুরার সাক্ষ্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি আদালতে জানান, একসময় ডিডি মাদকাসক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন ধরনের মাদক নিতেন।
ভেনচুরা আরও জানান, ডিডি একবার ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত ডোজ নিয়েছিলেন, যার ফলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল।
আদালতে ডিডির প্রাক্তন ব্যক্তিগত সহকারী ডেভিড জেমসও সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ডিডিকে প্রায়ই দিনের বেলায় মাদক নিতে এবং রাতে ইয়াবা সেবন করতে দেখেছেন।
জেমস আরও জানান, তিনি ডিডি এবং তার বন্ধুদের জন্য মাঝে মাঝে মাদক সংগ্রহ করতেন।
মনোবিদ ও মাদক বিশেষজ্ঞ ড. ড্রিউ পিংকি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সেলিব্রিটিদের মধ্যে মাদকাসক্তি সাধারণ মানুষের তুলনায় দ্রুত বাড়ে, কারণ তাদের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার অভাব থাকে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ধনী ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই রোগের বিস্তার আরও বেশি দেখা যায়।”
ডিডি কম্বসের এই মামলার শুনানি এখনো চলছে। আদালত সূত্র বলছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে এই বিচার প্রক্রিয়া চলতে পারে।
এই মামলার রায় ডিডির ভবিষ্যৎ জীবনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে, যা এখন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন