ডিডি’র বিচার: সাক্ষী দিতে মরিয়া, ফাঁস হওয়ার ভয়ে?

বিখ্যাত র‍্যাপ তারকা ডিডি’র বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতনের অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। কয়েক দশক ধরে সঙ্গীত জগতে দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করা এই প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন অনেকে। যদিও তিনি বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে ডিডি’র বিচার শুরু হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাকে ১৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে। জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন সময়ে ডিডি’র বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও মানবপাচারের অভিযোগ উঠেছে।

তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে মাদক ব্যবসা এবং খুনের মতো গুরুতর বিষয়ও।

অভিযোগের তালিকায় ডিডি’র প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাসি ভেন্টুরার নামও রয়েছে। তিনি আদালতে ডিডি’র বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়েছেন। এছাড়া, আরও কয়েকজন নারী ডিডি’র বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন।

এই মামলার শুনানিতে ডিডি’র আইনজীবীরা তাদের মক্কেলের নির্দোষিতা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। তারা অভিযোগ করছেন, ডিডি’র বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আইনজীবীরা তাদের মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

অন্যদিকে, সরকারি কৌঁসুলিরা ডিডি’র বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ হাজির করার চেষ্টা করছেন। তাদের হাতে সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজও রয়েছে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিডি’র বিরুদ্ধে মামলাটি বেশ কঠিন। কারণ, অভিযোগের সংখ্যা অনেক এবং ভুক্তভোগীর সংখ্যাও বেশি। মামলার রায় ডিডি’র জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

যদি কোনো ভুক্তভোগী বা তার পরিচিতজন যৌন নির্যাতনের শিকার হন, তবে তারা এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন: (এখানে বাংলাদেশের উপযুক্ত সহায়তা কেন্দ্রের নম্বর দিন)।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *