শিরোনাম: আমেরিকান র্যাপ তারকা ডিডি’র বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও মানব পাচারের অভিযোগ, বিচারের প্রস্তুতি
নিউ ইয়র্ক থেকে: আমেরিকান হিপ-হপ জগতের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব শন কম্বস, যিনি ডিডি নামেও পরিচিত, তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে নারী পাচার, যৌন নির্যাতন এবং একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার মতো গুরুতর বিষয়।
অভিযোগ উঠেছে, ডিডি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নারীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। বাদীর তালিকায় রয়েছেন ডিডির সাবেক প্রেমিকা, জনপ্রিয় আর এন্ড বি শিল্পী ক্যাসি ভেন্টুরা। তিনি অভিযোগ করেছেন, ডিডি তাকে বিভিন্ন সময়ে মারধর করেছেন এবং যৌন নির্যাতন করেছেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ডিডি তার খ্যাতি ব্যবহার করে নারীদের বিভিন্ন পার্টিতে একত্রিত করতেন। সেখানে তাদের মাদক দ্রব্য সেবন করতে বাধ্য করা হতো এবং যৌনকর্মে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হতো। এই ধরনের কার্যকলাপকে প্রসিকিউটররা ‘ফ্রিক অফস’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ডিডির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে নারীদের অপহরণ, তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো, এবং তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানো।
তবে ডিডির আইনজীবীরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং বাদীর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক ছিল। তারা আরও বলেছেন, ডিডি একজন ভালো মানুষ ছিলেন এবং মাদক ও খারাপ সম্পর্কের কারণে তিনি সমস্যায় পড়েছেন।
আদালতে জমা দেওয়া নথিপত্র এবং সাক্ষীদের বয়ান অনুযায়ী, ডিডি তার ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের এসব অপরাধ সংঘটিত করতে প্ররোচিত করতেন। এর মধ্যে ছিল তার নিজস্ব রেকর্ড লেবেল, পোশাকের ব্র্যান্ড, এবং অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান। মামলার তদন্তকারীরা ডিডির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে টেক্সট মেসেজ, ইমেল, হোটেলের রেকর্ড এবং ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন প্রমাণ উপস্থাপন করবেন।
২০১৬ সালের একটি ভিডিওতে ডিডিকে ক্যাসিকে মারধর করতে দেখা যায়। ঘটনার পরে ডিডি প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এর আগে ২০০১ সালে ডিডি’র বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ উঠেছিল, তবে সে সময় তিনি বেকসুর খালাস পান।
ডিডি’র বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে কয়েক দশক কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে। আগামী দিনে ম্যানহাটনের একটি ফেডারেল আদালতে এই মামলার বিচারকার্য শুরু হবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস