ডিজিটাল যাযাবরের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা! আপনারও হতে পারে, সতর্ক হোন!

বিদেশ ভ্রমণে ফুড পয়জনিং: কিভাবে বাঁচবেন?

আজকাল কাজের সূত্রে বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক দেশের বাইরে যান। বিদেশে গেলে সেখানকার সংস্কৃতি, খাবার-দাবার সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে অনেকেরই। কিন্তু ভ্রমণের সময় একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেককে ভোগায়, তা হলো ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়া। অচেনা পরিবেশে খাবারের কারণে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

সম্প্রতি, ডিজিটাল যাযাবরদের (digital nomads) একটি আলোচনা সভায় একজন ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় কিভাবে এই সমস্যাগুলো এড়ানো যায়।

মেক্সিকো সিটিতে ভ্রমণে যাওয়া ওই ব্যক্তি সেখানকার রাস্তার খাবার খেয়েছিলেন। প্রথম দিকে কোনো সমস্যা না হলেও, কয়েকদিন পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পেটে অস্বস্তি, বমি ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয় তার।

খাবার খাওয়ার পরে তিনি যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়েছিলেন, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্যান্য ভ্রমণকারীদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

পর্যটকদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স বিশেষজ্ঞ গ্রান্ট উইন্টার বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাবার এবং পানীয়ের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে কলেরা, টাইফয়েড এবং হেপাটাইটিস-এ-এর মতো গুরুতর রোগ হতে পারে।

তাই, ভ্রমণের সময় খাদ্য বিষক্রিয়ার ঝুঁকি কমাতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

উইন্টার আরও বলেন, সব সময় বোতলজাত পানি পান করা উচিত। এমনকি, সেখানকার স্থানীয়রা নিরাপদ বললেও, অচেনা স্থানে সরাসরি কলের পানি পান করা উচিত নয়।

বোতলের মুখ ভালোভাবে সিল করা আছে কিনা, তা দেখে নিতে হবে। বোতলজাত পানি না পেলে, পানি ফুটিয়ে অথবা ক্লোরিন ট্যাবলেট বা আয়োডিন ব্যবহার করে বিশুদ্ধ করে পান করা যেতে পারে।

হোটেল বা রিসোর্টের খাবার সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে। বাসি খাবার খাওয়া উচিত না। খাবার পরিবেশনের শুরুতে বা অল্প সময়ের মধ্যে খাবার গ্রহণ করা ভালো। কারণ, অনেকক্ষণ ধরে খোলা অবস্থায় রাখা খাবারে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে।

মাছি ভন ভন করছে এমন খাবারও এড়িয়ে যাওয়া উচিত। তাছাড়া, বাইরের কাটা ফল ও সবজি না খেয়ে, নিজে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত।

সবশেষে, বরফ ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় বরফ তৈরি করা হয় অনিরাপদ পানি থেকে, যা অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণের সময় খাবার খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া উচিত। বাইরে থাকাকালীন সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

আসলে, ভ্রমণের সময় একটু সচেতন থাকলেই ফুড পয়জনিংয়ের মতো সমস্যাগুলো এড়ানো যেতে পারে। অপরিচিত পরিবেশে খাবার খাওয়ার আগে সতর্ক থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করুন। কোনো সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *