১১ বছরের বালকের মৃত্যু: ‘ডিং ডং’ খেলার পরিণতি?

১১ বছর বয়সী এক বালকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, যিনি বন্ধুদের সাথে ‘ডিং ডং ডিচ’ খেলার সময় গুলিবিদ্ধ হন।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে ঘটা এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত হয় স্থানীয় সময় শনিবার রাতে, যখন জুলিয়ান গুজমান নামের ওই কিশোর তার এক বন্ধুর সাথে প্রতিবেশী এক বাড়িতে ‘ডিং ডং ডিচ’ খেলার পরিকল্পনা করে।

এই খেলায় তারা একটি বাড়ির দরজার ঘন্টা বাজিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের এই কৌতুক পরিণত হয় এক চরম ট্র্যাজেডিতে।

দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই গুলি ছোড়া হয় এবং জুলিয়ানের শরীরে তা লাগে।

গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পরদিন তার মৃত্যু হয়।

হিউস্টন পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪২ বছর বয়সী গঞ্জালো লিওন জুনিয়রকে গ্রেপ্তার করেছে।

তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সম্ভবত তার বাড়ি লক্ষ্য করে দরজা বাজানোর কারণে গুলি চালিয়েছিলেন।

এই ঘটনার পর, টেক্সাসের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

তারা আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দী সংগ্রহ করছে।

কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া হতে পারে।

“ডিং ডং ডিচ” খেলাটি বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিশেষ করে টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

এই ধরনের কৌতুকপূর্ণ কার্যকলাপ প্রায়ই ছোটদের মধ্যে দেখা যায়। কিন্তু এর পরিণতি যে কত ভয়াবহ হতে পারে, জুলিয়ানের ঘটনা তারই প্রমাণ।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যে আত্মরক্ষার জন্য প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।

তবে, এই মামলায় আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের ক্ষেত্রে এই ধরনের আইনের কোনো সুযোগ নেই, কারণ নিহত কিশোর কোনো প্রকার হুমকি সৃষ্টি করেনি।

এই ঘটনার পর, কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন তাদের সন্তানদের এই ধরনের বিপজ্জনক খেলা থেকে বিরত রাখে এবং তাদের মধ্যে জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *