আসুন পরিচয় করিয়ে দিই একটি নতুন ফ্যান্টাসি উপন্যাসের সঙ্গে, যা এরই মধ্যে পাঠক মহলে সাড়া ফেলেছে।
সাবল সোরেনসেন-এর (আসলে লেখক যুগল – এলিজা ফিলিপস এবং অ্যানি পেইজ-স্টোন) লেখা ‘ডাইর বাউন্ড’ (Dire Bound) বইটিতে একদিকে যেমন রয়েছে জাদু এবং ভালোবাসার গল্প, তেমনই রয়েছে এক ভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার চিত্র।
বইটির গল্পে ‘ফোর্থ উইং’ এবং ‘দ্য হাঙ্গার গেমস’-এর মতো ঘটনার আভাস পাওয়া যায়।
গল্পটি তৈরি হয়েছে নোকটোর্না নামক এক কাল্পনিক রাজ্যে, যেখানে প্রায়ই যুদ্ধ লেগে থাকে।
এখানকার মানুষেরা ‘ডায়রওল্ফ’-এর সঙ্গে মিলিত হয়ে রাজ্যের সেরা যোদ্ধা হওয়ার সুযোগ পায়।
গল্পের প্রধান চরিত্র মেরিন, যে তার বোনের অপহরণের পর এই যোদ্ধা দলে যোগ দিতে চায়।
কিন্তু তাকে প্রথমে কঠিন কিছু পরীক্ষা বা ‘বন্ডিং ট্রায়ালস’-এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
মেরিনকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
অন্যদিকে যেমন কঠোর প্রশিক্ষণে সামান্য ভুল মানেই মৃত্যু, তেমনই রাজ দরবারের ঝলমলে পরিবেশে লুকিয়ে থাকে ষড়যন্ত্রের ছায়া।
এমনকি মেরিনের সঙ্গে থাকা ডায়রওল্ফটিও তার সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি নয়।
এছাড়াও, প্রশিক্ষণে আসা অন্যদের রক্তচক্ষু এবং তার সুদর্শন প্রশিক্ষক স্টার্ক থেরিয়নের কুটিল মনোভাব তো রয়েছেই।
শুধুমাত্র প্রিন্স কিলিয়ান ভ্যালটিয়ারের সঙ্গেই মেরিনের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে, কিন্তু এর কারণে সে আরও বেশি বিপদের সম্মুখীন হয়।
লেখকদের মতে, এই গল্পের মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতা এবং একটি স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
তারা চেয়েছেন এমন একটি গল্প তৈরি করতে যা একইসঙ্গে বেদনাদায়ক এবং আনন্দদায়ক।
এই গল্পে মেরিনের আত্ম-অনুসন্ধান এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে, যা আজকের তরুণীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিমধ্যে সাড়া জাগানো এই বইটি আগামী ২১শে মে ই-বুক আকারে এবং ২৬শে আগস্ট পেপারব্যাক সংস্করণে প্রকাশিত হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			