গোপন কান্ড! ডিজনি জেতার পর স্কুলে যে কাণ্ড ঘটলো!

স্বপ্ন সত্যি হওয়ার গল্প: ডিজনি চ্যানেলের লটারিতে জিতে ‘কুল’ হওয়া এক কিশোরের অভিজ্ঞতা

ছেলেবেলার স্মৃতিগুলো সবসময়ই অন্যরকম। টেলিভিশনের পর্দায় দেখা স্বপ্নের জগৎ যদি বাস্তবে ধরা দেয়, তাহলে তো কথাই নেই!

এমনই এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছিলেন ম্যাক্স অ্যাব্রামস। ২০০৯ সালে, ১১ বছর বয়সে, ডিজনি চ্যানেলের একটি লটারিতে জিতে রাতারাতি স্কুলের ‘সবচেয়ে কুল’ (cool) ছেলে হয়ে ওঠা— এমনই এক গল্প শোনালেন তিনি।

ডিজনি চ্যানেলের জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলোর ফাঁকে প্রায়ই বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতার ঘোষণা করা হতো। অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে অনলাইনে নাম লেখানোর কথা বলা হলেও, ম্যাক্স তেমন কিছুই করেননি।

বন্ধুদের মতো তিনিও হয়তো তেমন একটা আশা করেননি। তবে কয়েক মাস পর, পরিবারের ভয়েস মেল (voicemail) চেক করার সময়ে তার জীবনে আসে সেই অপ্রত্যাশিত মোড়।

“আমি স্কুলে থেকে ফিরে এসে, কেন জানি না, ভয়েস মেল চেক করি। আজও মনে আছে, সেদিন তারা জানিয়েছিল, ‘আপনি জিতেছেন’।” ম্যাক্স স্মৃতিচারণ করে বলেন।

বাবার প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস করতে বেশ কষ্ট হয়েছিল। কারণ, তাদের কাছে বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ নতুন। কিন্তু যখন লস অ্যাঞ্জেলেসের টিকিট এল, তখন সব যেন বাস্তব হতে শুরু করলো।

এরপর, বিমানবন্দরে নামার পর, তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল একটি সাদা লিমুজিন।

লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় সেই লিমুজিনে চড়ে ঘোরার অভিজ্ঞতা ছিল যেন স্বপ্নের মতো। এরপর, হোটেলে পৌঁছে হাতে এল ডিজনি-বিষয়ক বিভিন্ন উপহার ও একটি স্কেটবোর্ড।

যদিও তার ঘর সাজানোর কথা ছিল, তবে বাস্তবে ঘর সাজানোর মতো কোনো সুযোগ হয়নি।

এরপর আসল আকর্ষণ— ‘সুইট লাইফ অন ডেক’ (The Suite Life on Deck) এর সেটে যাওয়া। সেখানে তিনি সেটের বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখেন এবং পোশাক পরে ছবি তোলার সুযোগ পান।

এমনকি, তিনি ‘মিস্টার মোসবি’র (Mr. Moseby) কোটও পরেছিলেন।

সেখানে তার দেখা হয় ব্রেন্ডা সংয়ের (Brenda Song) মতো তারকাদের সঙ্গে। তাদের উষ্ণ ব্যবহার ম্যাক্সের ভালো লেগেছিল।

তবে, ডিলান ও কোল স্প্রাউসের (Dylan and Cole Sprouse) সঙ্গে দেখা করার অভিজ্ঞতা ছিল বেশ অন্যরকম।

পুরো পরিবারকে প্রায় এক সপ্তাহ লিমুজিন ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়েই ছিল ম্যাক্সের জন্মদিন।

তারকাদের বাড়ি ঘুরে দেখা এবং তাদের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো ছিল তার কাছে অবিস্মরণীয়।

ফিরে আসার আগে, ডিজনি কর্তৃপক্ষ ম্যাক্সের হাতে তুলে দেয় একগাদা অটোগ্রাফ। মিতালি সাইরাস, জোনাস ব্রাদার্স, ডেমি লোভাটোদের (Miley Cyrus, Jonas Brothers, Demi Lovato) মতো সেই সময়ের জনপ্রিয় তারকাদের অটোগ্রাফ ছিল সেখানে।

স্কুলে ফিরে আসার পর, ম্যাক্স যেন তারকা বনে গিয়েছিল। বন্ধুদের মধ্যে অটোগ্রাফ বিলি করা এবং অল্প সময়ের জন্য হলেও সবার কাছে পরিচিতি পাওয়া— সবই ছিল তার কাছে স্বপ্নের মতো।

গ্রীষ্মের ছুটির পর, যখন সে আবার স্কুলে ফেরে, তখন হয়তো আগের মতোই হয়ে গিয়েছিল, তবে সেই কয়েকটা দিন ছিল তার জীবনের সেরা সময়গুলোর একটি।

বর্তমানে ২৬ বছর বয়সী ম্যাক্স এখনো সেই দিনের কথা স্পষ্টভাবে মনে রেখেছেন। তার ভাষায়, “পুরো বিষয়টি ছিল অভাবনীয়।

উপহার, লিমুজিন, তারকাদের সঙ্গে দেখা, সেটে যাওয়া, অটোগ্রাফ— যেন কিছুই থামছিল না।”

তথ্য সূত্র: পিপল ম্যাগাজিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *