ডিজনিল্যান্ড-এর ৭০ বছর উদযাপন: এক জাদুকরী মাইলফলক।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র, ডিজনিল্যান্ড, তার ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে এক বিশাল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে।
এই উদযাপনের মূল বিষয় হলো ‘সেলিব্রেট হ্যাপিনেস’ বা ‘আনন্দ উদযাপন’। এই বর্ণাঢ্য উৎসব চলবে ২০২৬ সালের গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত।
ডিজনিল্যান্ডে আসা পর্যটকদের জন্য এই উদযাপন যেন এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যেখানে রয়েছে নতুনের ছোঁয়া, নস্টালজিয়া এবং আরও অনেক কিছু।
এই বিশেষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ডিজনিল্যান্ডে যুক্ত হয়েছে আকর্ষণীয় সব আয়োজন।
এর মধ্যে অন্যতম হলো নতুন রাতের আলোয় সজ্জিত মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানমালা এবং বর্ণাঢ্য প্যারেড।
‘পেইন্ট দ্য নাইট’ প্যারেড-এর প্রত্যাবর্তন দর্শকদের মন জয় করেছে, যেখানে ক্লাসিক সিনেমা যেমন ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’ ও ‘দ্য লিটল মারমেইড’ থেকে শুরু করে আধুনিক সিনেমা ‘মনস্টার্স ইনকর্পোরেটেড’ এবং ‘কার্স’-এর চরিত্রগুলো তাদের আলো ঝলমলে রূপে দর্শকদের সামনে আসে।
এছাড়াও, ‘ওয়ার্ল্ড অফ কালার – হ্যাপিনেস!’ নামক রাতের আলোয় সজ্জিত অনুষ্ঠানে সবাই একসঙ্গে গান গেয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
ডিজনিল্যান্ডের পুরনো আকর্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ইটস এ স্মল ওয়ার্ল্ড’ আকর্ষণটিকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে।
এখানে ‘কোকো’ সিনেমার মিগুয়েল ও ডান্তের মতো চরিত্রদের দেখা যায়।
এই আকর্ষণটি ডিজনির অতীতের স্মৃতিকে বর্তমানের সঙ্গে জুড়ে দেয়।
শুধু বিনোদনই নয়, খাদ্যরসিকদের জন্যেও রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ।
৭০টিরও বেশি নতুন মেনু আইটেম এই উদযাপনের অংশ।
ক্লাসিক স্বাদের সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়া মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে নানা ধরনের খাবার।
যারা মিষ্টি ভালোবাসেন, তাদের জন্য রয়েছে পিস কোবলার ফানেল কেক ফ্রাই-এর মতো আকর্ষণীয় পদ।
এছাড়াও, রয়েছে পুরনো দিনের জনপ্রিয় খাবার, যা দর্শকদের নস্টালজিক করে তুলবে।
স্মারক হিসেবে সংগ্রহ করার মতো অনেক কিছুই রয়েছে।
বিভিন্ন থিমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি পোশাক, ব্যাগ, জলের বোতল, এবং খেলনার মতো জিনিসপত্র কেনা যেতে পারে।
এই উদযাপনের আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হলো ‘ট্রেজার হান্ট’ বা গুপ্তধন খোঁজা।
পার্কের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই “ট্রেজার হান্ট”-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে দর্শকরা আকর্ষণীয় পুরস্কার জেতার সুযোগ পান।
এই আয়োজনে “কী টু ডিজনিল্যান্ড” এবং “ম্যাজিক ব্যান্ড+” ব্যবহার করা হয়েছে, যা দর্শকদের অভিজ্ঞতা আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
ডিজনিল্যান্ড-এর এই ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন যেন এক আনন্দময় স্মৃতিচিহ্ন, যা দর্শকদের মনে গেঁথে থাকবে।
ডিজনির এই উদযাপন প্রমাণ করে, কিভাবে তারা তাদের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে নতুনত্বের সঙ্গে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে।
ডিজনির চরিত্রগুলো বাংলাদেশের মানুষের কাছেও খুবই প্রিয়, তাই এই উদযাপন তাদের জন্য এক দারুণ আকর্ষণ হতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার