নোভাক জোকোভিচ যেন এক নতুন রূপে ফিরে এসেছেন। বছরের শুরুতে চোট এবং অপ্রত্যাশিত হারে জর্জরিত হওয়ার পর, তিনি আবারও আলো ছড়াচ্ছেন।
মায়ামি ওপেনের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন এই কিংবদন্তি টেনিস তারকা। একদিকে যেমন তিনি তার ১০০তম এটিপি খেতাব জয়ের দিকে তাকিয়ে, তেমনই তার সামনে রয়েছে সবচেয়ে বেশি বয়সে এটিপি ১০০০ মাস্টার্স চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি।
এই বছরটা জোকোভিচের জন্য সহজ ছিল না। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে দারুণ পারফর্ম করার পরে, চোটের কারণে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়। এরপর কাতার ওপেনেও প্রত্যাশিত ফল করতে পারেননি তিনি। এমনকি ইন্ডিয়ান ওয়েলসের প্রথম রাউন্ডেই অপ্রত্যাশিত পরাজয় বরণ করতে হয়।
খেলোয়াড় জীবনে এমন কঠিন সময় খুব কমই এসেছে তার। তবে, কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর এক অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে জোকোভিচের।
মায়ামি ওপেনে তিনি যেন পুরোনো ছন্দে ফিরে এসেছেন। এখনো পর্যন্ত একটি সেটও হারেননি তিনি। তার নতুন কোচ অ্যান্ডি মারের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে, যা তার খেলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
ফাইনালে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ১৯ বছর বয়সী চেক তরুণ ইয়াকুব মেনসিক। মেনসিক এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সবার নজর কেড়েছেন।
শীর্ষ বাছাইদের হারিয়ে তিনি ফাইনালে উঠে এসেছেন। তার শক্তিশালী ফোরহ্যান্ড এবং অসাধারণ সার্ভিসের কাছে প্রতিপক্ষকে অসহায় মনে হয়েছে।
টুর্নামেন্ট শেষে তিনি র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ৩০-এর মধ্যে চলে আসবেন।
জোকোভিচের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ। একদিকে যেমন অভিজ্ঞতার ঝুলি, তেমনই রয়েছে তরুণ প্রতিপক্ষের আগ্রাসী মনোভাব।
তবে, জোকোভিচ তার লড়াকু মানসিকতা দিয়ে আবারও প্রমাণ করতে চান, কেন তিনি বিশ্বসেরা। তার এই লড়াই শুধু একটি খেতাবের জন্য নয়, বরং নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করারও।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান