টেনিস বিশ্বে পরিবর্তনের সুর, জানালেন নোভাক জোকোভিচ।
টেনিস কোর্টে নোভাক জোকোভিচ মানেই যেন অন্যরকম উন্মাদনা। রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জয়ী এই কিংবদন্তি খেলোয়াড় এবার অনুভব করছেন টেনিসে পরিবর্তনের হাওয়া।
খেলোয়াড় হিসেবে রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল এবং হয়তো অদূর ভবিষ্যতে তাঁর নিজের অবসরের কথা উল্লেখ করে তিনি মনে করেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে এখন মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু অনেকটাই বদলে গেছে।
৩৭ বছর বয়সী জোকোভিচ সম্প্রতি মাদ্রিদ ওপেনে খেলতে এসেছেন। এখানে তিনি তাঁর শততম ট্যুর-লেভেল খেতাব জয়ের লক্ষ্যে অবিচল।
খেলোয়াড় হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “টেনিস খেলোয়াড়দের নতুন প্রজন্মের আগমন ঘটছে, এটা স্পষ্ট।
রজার ও রাফার খেলা দেখতে না পাওয়ার কষ্ট মানুষ ধীরে ধীরে মেনে নিচ্ছে। অ্যান্ডি মারে এবং হয়তো আমিও একদিন খেলা থেকে বিদায় নেব।
জোকোভিচ আরও যোগ করেন, “আমি চেষ্টা করি সবসময় বয়োজ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিত্ব করতে।
টুর্নামেন্টগুলোতে এবং টেনিস বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে চাই। সম্ভবত এ কারণেই এখনো খেলা চালিয়ে যাচ্ছি।
কারণ আমি অনুভব করি, এর মাধ্যমে টেনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বাড়ছে। গ্র্যান্ড স্ল্যাম এবং কিছু এটিপি ১০০০ টুর্নামেন্টের দর্শক সংখ্যাও বাড়ছে, যা খুবই ইতিবাচক।
“খেলাটা সবসময়ই খেলোয়াড়দের থেকে বড়। খেলোয়াড়রা আসবে এবং যাবে, কিন্তু খেলাটা টিকে থাকবে। খেলার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে আমাদের সকলেরই অবদান রাখা উচিত।”
নিজের ভবিষ্যৎ এবং তরুণ খেলোয়াড়দের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জোকোভিচ বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়, ২১ বছর বয়সী কার্লোস আলকারাজের কথা উল্লেখ করেন।
তাঁর মতে, আলকারাজের মতো খেলোয়াড়দের এখনো অনেক পথ পেরোতে হবে। জোকোভিচ মনে করেন, আলকারাজ তাঁর বয়সে যা করেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ।
উল্লেখ্য, পেশীর ইনজুরির কারণে মাদ্রিদ ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আলকারাজ।
এদিকে, মাদ্রিদে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ, ২০২২ সালের সেমিফাইনালে আলকারাজের কাছে হেরেছিলেন।
বর্তমানে তিনি ইতালির মাতেও আরনাল্ডির বিরুদ্ধে খেলতে নামছেন।
এই মৌসুমে মন্ট কার্লো এবং ইন্ডিয়ান ওয়েলসে প্রথম ম্যাচেই হেরে গিয়েছিলেন জোকোভিচ। তবে মায়ামি ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি, যেখানে ইয়াকুব মেন্সি에게র কাছে পরাজিত হন।
গত আগস্টে প্যারিস অলিম্পিকে নিজের ৯৯তম খেতাব জেতেন জোকোভিচ। বর্তমানে তাঁর লক্ষ্য, এই টুর্নামেন্টে নিজের শততম খেতাব জয় করা।
টেনিসের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত জিমি কনার্স ১০৯টি এবং রজার ফেদেরার ১০৩টি খেতাব জিতেছেন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস