মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির তহবিল সংগ্রহে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যেখানে রিপাবলিকান পার্টি তাদের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনগুলোর আগে এমন পরিস্থিতিতে দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি (আরএনসি)-র হাতে বর্তমানে প্রায় ৭২.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নগদ রয়েছে, যেখানে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি (ডিএনসি)-র সংগ্রহে রয়েছে মাত্র ১৫ মিলিয়ন ডলার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন গভর্নর নির্বাচন এবং আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের (midterm elections) জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ডেমোক্রেটিক পার্টির এই দুর্বল আর্থিক অবস্থা তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। দলের অভ্যন্তরেও দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের মতবিরোধ।
প্রাক্তন ভাইস চেয়ার ডেভিড হগ-এর পদত্যাগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দল ত্যাগ করা নিয়েও আলোচনা চলছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ডেমোক্রেটিক পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান কেন মার্টিন-এর নেতৃত্বের প্রতি দলের অনেক সদস্য অসন্তুষ্ট। তারা মনে করেন, মার্টিন দলের তহবিল সংগ্রহে এবং ভোটারদের কাছে দলের বার্তা পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
যদিও মার্টিন দলের অভ্যন্তরে ঐক্যের ওপর জোর দিচ্ছেন এবং দলের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তিনি নির্বাচনে জেতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমরা নির্বাচন জেতার দিকে মনোনিবেশ করছি এবং দেশের প্রতিটি অংশে বিনিয়োগ করছি।
তবে, অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং নেতাদের দল ছাড়ার কারণে ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাবমূর্তিতে কিছুটা হলেও ক্ষতি হয়েছে। দলের অনেক সদস্য মনে করেন, এখন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন নির্বাচনে ভালো ফল করা কঠিন হবে।
বর্তমানে, ডিএনসি ছোট অঙ্কের অনুদানের ওপর বেশি নির্ভরশীল, যেখানে অধিকাংশ অনুদান আসছে ২০0 ডলার বা তার কম মূল্যের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, উভয় দলেরই এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একদিকে, রিপাবলিকান পার্টি তাদের বিশাল তহবিলের সুবিধা কাজে লাগাতে চাইছে, অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে অভ্যন্তরীণ সমস্যা কাটিয়ে ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
তথ্য সূত্র: CNN