একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক: প্রতিবেশী আর একটি কুকুরের মিষ্টি গল্প
কখনও কখনও, মানুষের মাঝে গড়ে ওঠা সম্পর্কগুলো সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়। কিন্তু যখন একটি মানুষ আর একটি কুকুরের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব তৈরি হয়, তখন সেই গল্পগুলো আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি, এমনই একটি মিষ্টি বন্ধুত্বের গল্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গল্পটি হলো, কানাডার টরন্টোর বাসিন্দা অ্যাড্রিয়েন ফস্টারের পোষা কুকুর, গুস এবং তার প্রতিবেশী ড্রিউয়ের বন্ধুত্বের।
২০২২ সালের গ্রীষ্মকালে, অ্যাড্রিয়েন যখন তাদের নতুন ল্যাব্রাডর রিট্রিভার, গুসকে বাড়িতে নিয়ে আসেন, তখন থেকেই প্রতিবেশী ড্রিউয়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ড্রিউ প্রায়ই তার বাড়ির সামনের লনে কাজ করতেন, আর গুসকে বাইরে আনা হলে, ড্রিউয়ের যেন আনন্দের সীমা থাকত না।
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই, তাদের মধ্যে দারুণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। অ্যাড্রিয়েন জানান, “প্রথম দেখাতেই যেন তাদের মধ্যে ভালোবাসা জন্মেছিল।
এই সম্পর্কটি সময়ের সঙ্গে আরও গভীর হয়েছে। তারা সপ্তাহে এক থেকে তিনবার দেখা করে। তাদের খেলার ধরনও বেশ মজার।
সাধারণত ড্রিউয়ের পেছনের উঠোনে তারা খেলাধুলা করে। ছুটির দিনগুলোতে তারা স্থানীয় একটি নদীতে ঘুরতে যায়। আবার কর্মদিবসে, পাড়ার আশেপাশে হাঁটা বা ডগ পার্কে যাওয়া তাদের নিয়মিত রুটিনের অংশ।
এমনকি, ড্রিউয়ের বাড়িতে বসে তারা একসঙ্গে টিভিও দেখে! অ্যাড্রিয়েন বলেন, “গুস ফ্রি আছে কিনা, তা জানতে চেয়ে ড্রিউ সাধারণত একটি টেক্সট মেসেজ করে, এরপরই শুরু হয় তাদের এই সুন্দর যাত্রা।
“রিলিজ দ্য গুস” – এই শব্দবন্ধটি তাদের বন্ধুত্বের একটি বিশেষ দিক। অ্যাড্রিয়েন জানান, তাদের এই মিষ্টি সম্পর্কটি টিকটকে শেয়ার করার পর তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওগুলোতে লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়েছে এবং অসংখ্য মন্তব্য এসেছে। অনেকেই গুস এবং ড্রিউয়ের এই সুন্দর সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন।
শুধু তাই নয়, ড্রিউ একজন দারুণ প্রতিবেশীও বটে। অ্যাড্রিয়েন বলেন, “ড্রিউ এবং তার পরিবার সবসময়ই খুব ভালো মানুষ। তারা আমাদের সঙ্গে গল্প করে, মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে আসে এবং সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকে।
ড্রিউ বাড়ির ছোটখাটো সমস্যাগুলোও খুব ভালোভাবে সমাধান করেন। এমনকি, ক্রিসমাসের লাইটগুলোও তিনিই লাগিয়েছিলেন।
অ্যাড্রিয়েনের মতে, ড্রিউ যেন পাড়ার ‘কুকুর-বন্ধু’।
এই গল্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সামান্য সহানুভূতি এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমেও কীভাবে মানুষের জীবন উজ্জ্বল করা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের এই সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার ফলে, অনেকেই তাদের আশেপাশে থাকা ভালো মানুষগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে উৎসাহিত হচ্ছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল