যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা পিস কর্পস-এর কাজকর্ম খতিয়ে দেখছে ইলন মাস্কের একটি দল। জানা গেছে, এই দল সম্ভবত সংস্থাটির খরচ কমানোর উদ্দেশ্যে কাজ করছে। শুক্রবার পিস কর্পস সদর দফতরে যান ‘ডজ’ নামে পরিচিত এই দলের প্রতিনিধিরা।
পিস কর্পস হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি সংস্থা, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক পাঠায়। ১৯৬১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হাত ধরে এই সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক এতে কাজ করেছেন।
বর্তমানে এর বার্ষিক বাজেট প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ‘ডজ’ দলের কর্মীরা পিস কর্পস-এর আর্থিক হিসাব পরীক্ষা করার জন্য সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এই দলটি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি-এর মতো আরও কিছু সংস্থার কাজকর্মও খতিয়ে দেখেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সংস্থাগুলোর খরচ কমানোর জন্যই তাদের এই প্রচেষ্টা।
পিস কর্পস-এর কর্মীরা জানিয়েছেন, ‘ডজ’ দলের সদস্যরা তাদের কাছে বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়েছে। কর্মীদের জানানো হয়েছে, এই দলের সদস্যরা সপ্তাহান্তে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। সেই কারণে, তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
পিস কর্পস-এর কার্যক্রম উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। যদি সত্যিই পিস কর্পস-এর বাজেট কমানো হয়, তবে এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাহায্য কমে যেতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে পিস কর্পস কর্তৃপক্ষ বা ইলন মাস্কের দল, কারো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ন্যাশনাল পিস কর্পস অ্যাসোসিয়েশন, যারা পিস কর্পস এবং এর প্রাক্তন স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কাজ করে, তারা তাদের সদস্যদের কাছে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান