মার্কিন বিচার বিভাগের এক আইনজীবী, যিনি আদালতে অভিবাসন সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন, তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ওই আইনজীবীর নাম ইরেজ রুভেনি।
তিনি ভুল করে এক ব্যক্তিকে, কিলমার আর্মেন্ডো অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে, এল সালভাদরে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় সরকারের হয়ে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন।
আদালতে বিচারকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় রুভেনি হতাশা প্রকাশ করেন। মূলত, কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি গার্সিয়াকে ফেরত আনতে পারছে না, সেই বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কোনো স্পষ্ট উত্তর পাননি।
কিলমার আর্মেন্ডো অ্যাব্রেগো গার্সিয়া যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাস করতেন এবং তার তিনটি সন্তান রয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন, সোমবার রাতের মধ্যে গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে জরুরি স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করে। তাদের বক্তব্য ছিল, গার্সিয়া বর্তমানে সালভাদরের হেফাজতে রয়েছেন, তাই তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
বিচার বিভাগের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি রুভেনির মামলা পরিচালনার ধরনের সমালোচনা করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, “আমার নির্দেশ অনুযায়ী, বিচার বিভাগের প্রত্যেক অ্যাটর্নিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে জোরালোভাবে ওকালতি করতে হয়।
কোনো আইনজীবী যদি এই নির্দেশ মানতে ব্যর্থ হন, তবে তাকে তার ফল ভোগ করতে হবে।”
আদালতে দেওয়া এক নথিতে ট্রাম্প প্রশাসন স্বীকার করেছে যে, প্রশাসনিক ত্রুটির কারণে গার্সিয়াকে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তাদের গাফিলতি সামনে আসে।
এর আগে, গত ১৫ই মার্চ, অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ‘আইসিই’ (ICE) অবগত ছিল যে, গার্সিয়াকে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো যাবে না। তা সত্ত্বেও, তাকে ফেরত পাঠানো হয়।
ইরেজ রুভেনি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, পাঁচ মাস আগে তিনি লিংকডইন-এ জানিয়েছিলেন যে, তাকে অভিবাসন বিষয়ক মামলার অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার জেরে বিচার বিভাগের আইনজীবীদের তথ্যের অভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, অনেক সময় তারা আদালতের বিচারকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না।
তথ্যসূত্র: সিএনএন