ডমিনিকান রিপাবলিকে একটি নাইটক্লাবের ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪ জনে। রাজধানী সান্টো ডমিঙ্গোর জেট সেট নাইটক্লাবে মঙ্গলবার ভোরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আর কোনো জীবিত ব্যক্তিকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসায় উদ্ধার অভিযান এখন পুনরুদ্ধারের পর্যায়ে রয়েছে।
দেশটির জরুরি বিভাগের পরিচালক জুয়ান ম্যানুয়েল মেনদেজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন। তবে এই সংখ্যাটি প্রাথমিক হিসাব।
তিনি আরও জানান, “আমরা সবকিছু ভালোভাবে খতিয়ে না দেখা পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করা থেকে বিরত থাকব না। মৃত অথবা জীবিত – আমরা সবাইকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত এখানে থাকব।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় ক্লাবটিতে বিপুল সংখ্যক সঙ্গীতশিল্পী, ক্রীড়াবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ছাদ ভেঙে পড়ার আগে সিলিং থেকে ধুলোবালি পড়তে শুরু করে এবং তা পানীয়ের সঙ্গে মিশে যায়।
এর কিছুক্ষণ পরেই পুরো ছাদটি ধসে পড়ে।
উদ্ধারকর্মীরা যখন ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেন, তখন নিহতদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে কান্নার রোল ওঠে। ফরেনসিক বিভাগের অফিসের বাইরে তারা তাদের প্রিয়জনদের খবর জানার জন্য ভিড় করেন।
কর্তৃপক্ষ বুধবার ৫৪ জন নিহত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে এবং ২৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তবে, এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ৩৩ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দেড়শ জনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ২০ জনের বেশি এবং তাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ড. নেই আরিয়াস লোরা ট্রমা হাসপাতালের পরিচালক ড. জুলিও ল্যান্ড্রন জানান, “আহতদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ। তাদের অনেকেরই মাথার খুলি, উরু এবং কোমরের হাড় ভেঙে গেছে।
তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে ছিলেন। তাদের শরীরে একাধিক ফ্র্যাকচার ছিল এবং তারা চাপা পড়ার কারণে রক্তক্ষরণও হয়েছে।
ছাদ ধসের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা তদন্তে সহযোগিতা করছে। তবে, জনপূর্ত মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি এবং বিষয়টি মেয়র অফিসের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা