সুপার বোলে ‘নট লাইক আস’! কেন ক্ষেপেছেন ড্রেইক?

ড্রেক বনাম কেন্ড্রিক লামার: মানহানির মামলায় সুপার বোলের পারফর্মেন্স যোগ করলেন ড্রেক

হিপ-হপ জগতে আবারও উত্তাপ। র‍্যাপ তারকা ড্রেক তার পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্ড্রিক লামারের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা আরও এক ধাপ এগিয়ে নিলেন। এবার এই মামলায় যুক্ত হয়েছে সুপার বোলের মঞ্চে লামারের বিতর্কিত পারফর্মেন্স।

খবর অনুযায়ী, ড্রেক মনে করেন, এই পারফর্মেন্সের মাধ্যমে তার সম্মানহানি করা হয়েছে এবং এর পেছনে ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপের (ইউএমজি) হাত রয়েছে।

আদালতে পেশ করা নতুন অভিযোগ অনুযায়ী, সুপার বোলের মঞ্চে কেন্ড্রিক লামারের ‘নট লাইক আস’ গানটি পরিবেশিত হয়, যা ছিল ২০২৩ সালের সবচেয়ে বেশি দেখা হওয়া সুপার বোল হাফটাইম শো।

ড্রেক বলছেন, এই অনুষ্ঠানে গানটি পরিবেশন করে ইউএমজি কার্যত তার চরিত্র হননের চেষ্টা করেছে। যদিও লামার গানটি পরিবেশনের সময় ‘পीडोফাইল’ শব্দটি বাদ দিয়েছিলেন, ড্রেকের দাবি, এই শব্দ বাদ দেওয়া থেকেই বোঝা যায়, গানটির বিষয়বস্তু কতটা মানহানিকর ছিল।

ড্রেকের আইনজীবীর মতে, ইউএমজি ইচ্ছাকৃতভাবে এই পারফর্মেন্সের ব্যবস্থা করেছে এবং এর মাধ্যমে তারা আর্থিক সুবিধা লাভ করেছে।

ড্রেকের আইনজীবী মাইকেল গটলিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ড্রেকের নতুন অভিযোগ মামলাটিকে আরও শক্তিশালী করবে। আমরা ইউএমজি’র ভুল কাজের প্রমাণ তুলে ধরব এবং তাদের ভুল সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ দায়বদ্ধ করতে বাধ্য করব।”

অন্যদিকে, ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ (ইউএমজি) ড্রেকের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ড্রেক তার আইনজীবীদের দ্বারা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছেন।

ইউএমজি’র মতে, ড্রেক নিজেই এই র‍্যাপ যুদ্ধের সূত্রপাত করেছেন এবং এখন তিনি তার হারের জন্য তাদের দায়ী করছেন।

উল্লেখ্য, কেন্ড্রিক লামারের ‘নট লাইক আস’ গানটিতে ড্রেকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ড্রেক এর আগেও ইউএমজি’র বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন, যেখানে গানটি প্রকাশ ও প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

ড্রেকের দাবি, এই গানের কারণে তার সম্মানহানি হয়েছে, অনলাইনে তাকে হেনস্থা করা হয়েছে এবং তার ব্র্যান্ডের মূল্য কমে গেছে।

এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০২৩ সালে, যখন কেন্ড্রিক লামার এবং ড্রেকের মধ্যে গানের মাধ্যমে বিবাদ শুরু হয়। লামার তার গানে ড্রেক সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

এই বিষয়টি এখন আইনি লড়াইয়ের দিকে মোড় নিয়েছে।

জানুয়ারিতে দায়ের করা মূল মামলায় ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন ড্রেক। তার দাবি, ইউএমজি’র এই কাজের ফলে তিনি বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *