ড্রেইক হোগেস্টিনের মৃত্যু: এখনো যেন বিশ্বাস হয় না, বলছেন অভিনেত্রী!

বিখ্যাত মার্কিন টেলিভিশন অভিনেতা ড্রেক হোগেস্টিনের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী কারস্টেন স্টর্মস। “ডেইজ অফ আওয়ার লাইভস” (Days of Our Lives) নামক জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করার স্মৃতিচারণ করে তিনি জানান, হোগেস্টিনের প্রয়াণ এখনও যেন তার কাছে “অবাস্তব” মনে হচ্ছে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৭০ বছর বয়সে মারা যান হোগেস্টিন। “ডেইজ অফ আওয়ার লাইভস”-এ জন ব্ল্যাক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।

কারস্টেন স্টর্মস এই ধারাবাহিকে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রয়াত সহকর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

কারস্টেন বলেন, “আমি যখন খবরটা শুনি, তখন খুব খারাপ লেগেছিল। কিন্তু আমার মনে হয়, এটা এখনও যেন আমার কাছে বাস্তব হয়ে ওঠেনি। তিনি সেখানে আমার প্রিয় মানুষ ছিলেন, একজন কিংবদন্তি। সবসময় হাসিখুশি থাকতেন এবং কাজেও ছিলেন অত্যন্ত নিপুণ।

হোগেস্টিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে কারস্টেন জানান, তিনি ড্রেকের ছেলে বেন হোগেস্টিনের সঙ্গে কিছু বছর প্রেম করেছেন। সেই সূত্রে হোগেস্টিন এবং তার পরিবারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

“ডেইজ অফ আওয়ার লাইভস”-এর সেটে কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কারস্টেন জানান, কিভাবে এই ধারাবাহিকে কাজ করার মাধ্যমে তিনি অভিনয় জগতের কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, “তখন আমি খুবই অল্প বয়সে ছিলাম। প্রতিদিন এতগুলো দৃশ্যে অভিনয় করতে হতো, যা সত্যিই কঠিন ছিল। তবে সেখান থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি।

কারস্টেন বিশেষভাবে অভিনেত্রী ডিড্রে হলের কথা উল্লেখ করেন, যিনি ওই ধারাবাহিকে তার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ডিড্রে হলের কাজের প্রতি নিষ্ঠা দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

২০০৪ সালে “ডেইজ অফ আওয়ার লাইভস” থেকে বিদায় নেওয়ার সময়কার অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে কারস্টেন জানান, সেই সময়ে তিনি বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, এই ধারাবাহিকের সঙ্গে তিনি একটি পরিবারের মতো সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।

কারস্টেন স্টর্মস বর্তমানে “জেনারেল হসপিটাল” (General Hospital) ধারাবাহিকে ম্যাক্সিন চরিত্রে অভিনয় করছেন। মে মাসের ২৩ তারিখে তিনি এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের ২০ বছর পূর্ণ করেছেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *