যুদ্ধবিরতির আভাস! ওয়ালিকালি ছাড়বে এম২৩, উদ্বেগে সেনারা

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে (Democratic Republic of Congo – ডিআরসি) চলমান সংঘাতের মধ্যে এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠী সম্প্রতি ওয়ালেকালে (Walikale – ওয়ালিকালে) শহর থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। এই পদক্ষেপটিকে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিদ্রোহী জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই অঞ্চলে তাদের সেনাদের “পুনরায় মোতায়েন” করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কঙ্গো রিভার অ্যালায়েন্স (Congo River Alliance) জানায়, তারা ওয়ালেকালে এবং এর আশেপাশের এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কঙ্গোর সরকার আশা করছে, বিদ্রোহীদের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবে রূপ নেবে। উল্লেখ্য, এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে এম২৩ গোষ্ঠী কঙ্গোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অ্যাঙ্গোলায় (Angola – অ্যাঙ্গোলা) আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে কঙ্গোর পররাষ্ট্র মন্ত্রী থেরেজ কাইকাওয়াম্বা ওয়াগনার (Therese Kayikwamba Wagner) সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা দেখব এম২৩ ওয়ালেকালে থেকে সেনা প্রত্যাহার করে কিনা এবং তারা আলোচনার মাধ্যমে শান্তির পথে হাঁটতে চায় কিনা।

আমরা আশা করি, এটি একটি বাস্তব পদক্ষেপ হবে।”

ফেব্রুয়ারী মাসে ঘোষিত যুদ্ধবিরতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিদ্রোহী জোট জানিয়েছে।

তবে কঙ্গোর সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে এই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্রোহী জোটের এক শীর্ষস্থানীয় সদস্য রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সেনা সরিয়ে নেওয়ার অর্থ হল “শান্তিকে সুযোগ দেওয়া”।

তবে বিদ্রোহীরা কোথায় তাদের সেনা সরিয়ে নেবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

তিনি আরও জানান, ওয়ালেকালে এবং তার আশেপাশের এলাকাকে “সেনামুক্ত” রাখতে হবে। যদি কঙ্গোর সেনাবাহিনী (এফএআরডিসি) এবং তাদের মিত্ররা ফিরে আসে, তাহলে এটি আবার শত্রুতা শুরুর ইঙ্গিত দেবে।

জানুয়ারী মাস থেকে বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রার কারণে ওয়ালেকালে শহরটি এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার মধ্যে সবচেয়ে পশ্চিমে অবস্থিত।

এর আগে তারা ডিআরসির পূর্বাঞ্চলের দুটি বৃহত্তম শহর দখল করে নেয়।

ওয়ালেকালের অবস্থান কিসাঙ্গানি (Kisangani – কিসাঙ্গানি) শহর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) দূরে।

কিসাঙ্গানি দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম শহর এবং এখানে কঙ্গো নদীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর রয়েছে।

রাজধানী কিনশাসা (Kinshasa – কিনশাসা) শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১,৫০০ কিলোমিটার (৯৩০ মাইল)।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *