বিশ্বনেতাদের ‘লজ্জা’ হওয়া উচিত: কঙ্গোতে উদ্বাস্তু মানুষের প্রতি অবহেলা!

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে (ডিআরসি)-র পূর্বাঞ্চলে, যেখানে কয়েক লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, সেখানকার মানবিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থার প্রধান। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের (এনআরসি) প্রধান জ্যান ইগেল্যান্ড বিশ্বনেতাদের, বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে বলেছেন, ডিআরসি-র জনগণের প্রতি তাদের চরম অবহেলা রয়েছে।

ইগেল্যান্ড জানান, সেখানকার শরণার্থীরা গুমার আশেপাশে ঘনবসতিপূর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অগ্রযাত্রার কারণে এরই মধ্যে ১২ লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে।

ইগেল্যান্ড আরও বলেন, শরণার্থীদের দুর্দশা আরও বেড়েছে কারণ এম২৩ তাদের শিবির ছাড়তে বাধ্য করছে। অনেক শরণার্থী হয় নিজেদের ভিটায় ফিরতে বাধ্য হচ্ছে, যেখানে এখন এম২৩-এর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানো জরুরি। বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর খাদ্য ও ঘরবাড়ি পুনর্গঠনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে নগদ অর্থের প্রয়োজন।

তিনি জানান, সাহায্য সংস্থাগুলোও অর্থ সংকটে ভুগছে। কারণ, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত বছরের কাজের জন্য এখনও অনেক অর্থ পাওয়া যায়নি। যদিও নরওয়ের মতো দেশগুলো দ্রুত সাহায্য পাঠিয়েছে, অন্যান্য সংস্থাগুলো এখনও সংকট মোকাবেলা করছে।

ইগেল্যান্ডের মতে, এই মুহূর্তে যখন লড়াই বাড়ছে এবং উদ্বাস্তুদের সাহায্য করার সুযোগ রয়েছে, তখনও পর্যাপ্ত অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে মানুষজন শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে, যেখানে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *