নেদারল্যান্ডসে একটি জরুরি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে অভিবাসন নীতি এবং আবাসন সংকট ছিল প্রধান আলোচনার বিষয়। বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনে কট্টর-ডানপন্থী রাজনীতিবিদ গীর্ত ওয়াইল্ডার্স-এর দলের ভাগ্য নির্ধারণের দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই।
ওয়াইল্ডার্স এর দল, ‘পার্টি ফর ফ্রিডম’ এর মূল লক্ষ্য হল অভিবাসন বন্ধ করা। খবর অনুযায়ী, নির্বাচনে ওয়াইল্ডার্স-এর দল সবচেয়ে বেশি আসন পেতে পারে, তবে অন্যান্য দলগুলোও তাদের কাছাকাছি চলে আসছে।
নির্বাচনের কারণ হিসেবে জানা যায়, অভিবাসন নীতি নিয়ে বিতর্কের জেরে আগের জোট সরকার ভেঙে যায়। ওয়াইল্ডার্স-এর দল সরকার থেকে বেরিয়ে আসার পর দ্রুত নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের এক কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের এই দেশটিতে, নির্বাচনের প্রচারের সময় অভিবাসন বিরোধী সমাবেশ ও আশ্রয়প্রার্থীদের নতুন কেন্দ্র তৈরি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নেদারল্যান্ডসের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন চরম মেরুকরণ চলছে। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ওয়াইল্ডার্স-এর দল হয়তো পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে। তবে অন্যান্য দলগুলোও তাদের কাছাকাছি রয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল এখনো নিশ্চিত নয়, কারণ অনেক ভোটার শেষ মুহূর্তে তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন।
ডাচ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ, যা হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভস নামে পরিচিত, সেখানে মোট ১৫০ জন সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর সরকার গঠনের জন্য দলগুলোকে জোটবদ্ধ হতে হবে। তবে অনেক দল এরই মধ্যে ওয়াইল্ডার্স-এর সঙ্গে কাজ করতে রাজি নয়।
তাদের মতে, ওয়াইল্ডার্স জোটের জন্য নির্ভরযোগ্য নন। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ডাচ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকার গঠনে অনেক দলের মধ্যে আলোচনা ও দর কষাকষি হতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস