আলোচিত: ডোয়াইন জনসনের সেরা সিনেমাগুলো!

ডুয়েন ‘দ্য রক’ জনসন: সিনেমার দুনিয়ায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

ডুয়েন ‘দ্য রক’ জনসন, যিনি একাধারে কুস্তিগির, অভিনেতা এবং প্রযোজক হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত, তাঁর সিনেমাগুলি বক্স অফিসে সবসময়ই ঝড় তোলে। তাঁর অভিনয় দক্ষতা এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি সিনেমাপ্রেমীদের মনে আজও গেঁথে আছেন।

সম্প্রতি, তাঁর অভিনীত সিনেমাগুলির র‍্যাংকিং প্রকাশ করেছে ‘দ্য গার্ডিয়ান’। আসুন, সেই র‍্যাংকিং-এর ভিত্তিতে জনসনের সেরা এবং অপেক্ষাকৃত দুর্বল কিছু সিনেমা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

তালিকার একেবারে শেষে রয়েছে ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রেড ওয়ান’। এই সিনেমাটি নির্মাণকালে জনসনের কিছু আচরণ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল, যা সিনেমাটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।

এরপর তালিকায় রয়েছে ‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’ (২০২২)। যদিও এই ছবিতে জনসনকে সুপারহিরোর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল, তবে সিনেমাটি দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।

এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে কমেডি ও অ্যাকশন নির্ভর কিছু সিনেমা।

এর মধ্যে রয়েছে ‘বেওয়াচ’ (২০১৭), যেখানে ডেভিড হাসেলহফের জনপ্রিয় চরিত্রকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও, তা দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি।

হাস্যরসের মোড়কে তৈরি ‘টুথ ফেরি’ (২০১০) ছবিতেও জনসনকে দেখা গিয়েছিল, যেখানে তিনি একজন দাঁতপরী’র ভূমিকায় অভিনয় করেন।

কিছুটা দুর্বল হলেও, ‘জার্নি ২: দ্য মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড’ (২০১২) ছবিতে জনসনের অভিনয় অনেকের কাছে বেশ উপভোগ্য লেগেছে।

এছাড়া, ‘ফাস্টার’ (২০১০) এবং ‘হারকিউলিস’ (২০১৪)-এর মতো সিনেমাগুলোও দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি।

জনসনের সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘জাঙ্গল ক্রুজ’ (২০২১)। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন এমিলি ব্লান্ট।

ডিজনির থিম পার্কের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছিল। এছাড়া, ‘স্কাইস্ক্র্যাপার’ (২০১৮), ‘ফাইটিং উইথ মাই ফ্যামিলি’ (২০১৯)-এর মতো সিনেমাগুলোতেও জনসনের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।

জনসনের অভিনয় জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সিনেমা হল ‘র‍্যাম্পেজ’ (২০১৮)। ১৯৮৬ সালের একটি ভিডিও গেমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই ছবিতে জনসনের বিপরীতে ছিল একটি বিশাল গরিলা, যার সাথে তাঁর রসায়ন ছিল দারুণ উপভোগ্য।

জনসনের ক্যারিয়ারের শুরুতে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য মমি রিটার্নস’ (২০০১) ছবিতে তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। এই ছবিতে তিনি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেন।

এছাড়াও, ‘পেইন অ্যান্ড গেইন’ (২০১৩) ছবিতে মার্ক ওয়ালবার্গের সঙ্গে তাঁর জুটি দর্শকদের বেশ আনন্দ দিয়েছে।

অন্যদিকে, ‘বি কুল’ (২০০৫) ছবিতে জনসনের অভিনয় দর্শকদের হতাশ করেছে।

তবে ‘জুমানজি: ওয়েলকাম টু দ্য জাঙ্গল’ (২০১৭) ছবিতে তাঁর অভিনয় নতুন করে দর্শকদের মন জয় করে। এই ছবিতে তিনি একজন কিশোরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তাঁর অভিনয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

জনসনের সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় সিনেমা হল ‘দ্য আদার গাইস’ (২০১০)। এই ছবিতে স্যামুয়েল এল. জ্যাকসনের সঙ্গে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।

‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ সিরিজের সিনেমাগুলো জনসনের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

বিশেষ করে ‘ফাস্ট ফাইভ’ (২০১১) ছবিতে অভিনয়ের পর তিনি দর্শকদের কাছে আরও বেশি পরিচিত হন।

জনসনের সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম সফল সিনেমা হল ‘সান আন্ড্রেয়াস’ (২০১৫)। এই ছবিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই দর্শকদের মন জয় করে।

অবশেষে, ‘হবস অ্যান্ড শ’ (২০১৯)-এর মতো অ্যাকশনধর্মী সিনেমাগুলোতে জনসন তাঁর অভিনয়ের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন।

তবে, জনসনের অভিনয় জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হল ‘মোয়ানা’ (২০১৬)। এই ছবিতে তিনি কণ্ঠশিল্পী এবং অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।

ডুয়েন ‘দ্য রক’ জনসন, সিনেমার জগতে এক অবিসংবাদিত তারকা। তাঁর সিনেমাগুলো সবসময়ই দর্শকদের জন্য বিনোদনের এক ভিন্ন স্বাদ নিয়ে আসে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *