শীর্ষক: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা: বিচারকদের ধারণাগত দ্বিধা নিয়ে ই. জিন ক্যারলের উদ্বেগ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে আইনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন লেখিকা ই. জিন ক্যারল। সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর স্মৃতিকথায়, এই মামলার বিচার প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন তিনি। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে গিয়ে বিচারকদের ধারণা নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ক্যারল।
মামলার শুনানির সময় বিচারকদের মনে হতে পারে, ঘটনার সময় ক্যারলের বয়স এবং শারীরিক গড়ন—অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট আকর্ষণীয় ছিল না। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি শঙ্কিত ছিলেন। স্মৃতিচারণায় ক্যারল জানিয়েছেন, কিভাবে তিনি তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছিলেন।
১৯৯৬ সালে একটি ঘটনার সূত্র ধরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন ক্যারল। দীর্ঘদিন পর ২০১৯ সালে তিনি এই বিষয়ে মুখ খোলেন। এরপর ২০২৩ সালে আদালতের শুনানিতে বিষয়টি ওঠে। ঘটনার সময়কালে নিজের বয়স এবং শারীরিক গড়ন নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কারণ ছিল। তাঁর আশঙ্কা ছিল, বয়সের কারণে বিচারকরা হয়তো তাঁর অভিযোগের গুরুত্ব অনুভব করতে পারবেন না।
ক্যারল তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেন এবং কিভাবে বিচারকদের প্রভাবিত করা যায়, সেই বিষয়ে পরামর্শ চান। তিনি এমনকি তাঁর চুলের স্টাইল পরিবর্তনের কথাও ভেবেছিলেন, যাতে করে ঘটনার সময়কার চেহারার সঙ্গে মিল থাকে। সেই সময়কার একটি পরিচিত হেয়ার স্টাইলিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চুলের ছাঁট পরিবর্তন করেন।
ক্যারলের আইনজীবীর মতে, ঘটনার সময় তোলা ছবিগুলোই যথেষ্ট ছিল। তিনি মনে করতেন, সত্য ঘটনা তুলে ধরলে বিচারকরা অবশ্যই তা বিশ্বাস করবেন। তবে একটি পরীক্ষামূলক বিচারের ফলাফলে জানা যায়, বিচারকদের মধ্যে এই বিষয়ে দ্বিধা রয়েছে।
ই. জিন ক্যারলের এই স্মৃতিকথা, একজন নারীর সম্মান ও ন্যায়বিচারের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এখানে বিচার প্রক্রিয়ার জটিলতা এবং একজন ভুক্তভোগীর মানসিক অবস্থা গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। এটি আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
তথ্যসূত্র: পিপল