আশ্চর্য! পোপের আগমন, ইস্টার উৎসবে মাতোয়ারা বিশ্ব

বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হলো পবিত্র ইস্টার সানডে, পোপের বিশেষ উপস্থিতি।

রবিবার সারা বিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান দিবসটি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেছেন। ভ্যাটিকান সিটি থেকে শুরু করে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন এবং লেবাননের ধ্বংসস্তূপের মাঝেও এই উৎসবের আনন্দ দেখা গেছে।

এই বছর ক্যাথলিক ও অর্থোডক্স খ্রিস্টান উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই ইস্টার একই দিনে উদযাপিত হয়েছে, যা একটি বিশেষ ঘটনা।

ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের আকস্মিক উপস্থিতি ভক্তদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ সৃষ্টি করে। অসুস্থতা থেকে সেরে উঠলেও, ৮৮ বছর বয়সী পোপ জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এবং তাদের আশীর্বাদ করেন।

গত মার্চ মাসে ফুসফুসে প্রদাহের কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার তিনি সরাসরি ইস্টার মাসের প্রধান অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেননি, বরং সেই দায়িত্ব অর্পণ করেন সেন্ট পিটার্স বাসিলিকার অবসরপ্রাপ্ত আর্চপ্রিস্টের ওপর।

অন্যদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে ইস্টার পালিত হয়েছে বিশেষভাবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতের মাঝেও অনেকে প্রার্থনায় মিলিত হন।

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সেন্ট জর্জ মেলকাইট ক্যাথলিক চার্চের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আয়োজন করা হয় ইস্টার মাসের বিশেষ প্রার্থনা সভার। সেখানকার মানুষেরা ধ্বংসস্তূপের মাঝেও তাদের ধর্মীয় ঐতিহ্য এবং বিশ্বাসের প্রতি অবিচল ছিলেন।

ইস্টার সানডে শুধু আনন্দ এবং উৎসবের দিন নয়, এটি বিশ্বে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে আসে। এই দিনে, মানুষজন তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় করেন।

বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে শিশুদের জন্য ডিম খোঁজার মতো আনন্দ-উৎসবের আয়োজন করা হয়।

বিশ্বজুড়ে এই পবিত্র দিনে, ধর্মীয় নেতারা শান্তি ও সহানুভূতির আহ্বান জানিয়েছেন। যুদ্ধ ও কষ্টের মধ্যে বসবাস করা মানুষজন যেন এই উৎসবের মাধ্যমে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারেন, সেই প্রত্যাশা সকলের।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *