অ্যাপল টিভি প্লাস-এর নতুন থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘ইকো ভ্যালি’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
এই সিনেমায় একজন মায়ের তার সন্তানের প্রতি ভালোবাসার গভীরতা এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে তাকে রক্ষা করার অদম্য ইচ্ছাই প্রধান বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ব্র্যাড ইনগার্সবি।
‘ইকো ভ্যালি’র মূল গল্প গড়ে উঠেছে কেট গ্যারেট নামের এক নারীর জীবনকে কেন্দ্র করে।
কেট তার মেয়ের মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি এবং জীবনের কঠিন পরিস্থিতিগুলো মোকাবেলা করার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
ক্লেয়ার নামের তার মেয়ে, এক দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পরে, যেখানে তার প্রেমিক রায়ান নিহত হয়।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মা কেট, এমন কিছু পদক্ষেপ নেন যা তাকে এক গভীর সংকটে ফেলে দেয়।
রায়ানের মৃত্যুরহস্য উন্মোচনের পর গল্প নতুন মোড় নেয়।
কেট পরিস্থিতি সামাল দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে, কারণ সে তার মেয়েকে রক্ষা করতে চায়।
এরপর আসে ব্লাকমেইলিংয়ের ঘটনা, যেখানে মাদক ব্যবসায়ী জ্যাকি কেটকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন কেট তার খামারের একটি অংশ আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
কিন্তু আসল সত্য হলো, রায়ান তখনও জীবিত।
ঘটনার ঘনঘটার মধ্যে, কেট জানতে পারে যে, সে আসলে রায়ানের বদলে অন্য একটি মৃতদেহ লুকিয়েছিল।
পরবর্তীতে জানা যায়, সেই মৃতদেহটি ছিল গ্রেগ কামিনস্কি নামের এক যুবকের, যে অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে মারা গিয়েছিল।
জ্যাকি এই পুরো ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল কেটকে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করা।
সিনেমার শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, কেট তার খামারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।
ক্লেয়ারও ফিরে আসে মায়ের কাছে।
মা ও মেয়ের মধ্যেকার সম্পর্ক এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের ইঙ্গিত দিয়ে সিনেমাটি শেষ হয়।
‘ইকো ভ্যালি’ সিনেমাটি মা ও মেয়ের সম্পর্কের গভীরতা, পারিবারিক বন্ধন, এবং ভালোবাসার এক অসাধারণ চিত্র।
যারা থ্রিলার ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই সিনেমাটি একটি দারুণ উপভোগ্য হতে পারে।
আপনারা চাইলে অ্যাপল টিভি প্লাস-এ সিনেমাটি দেখতে পারেন।
তথ্য সূত্র: পিপল