মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কয়েকটি নির্বাচনে ভোটারদের প্রধান উদ্বেগের কারণ ছিল জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান খরচ। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়জয়কার হয়েছে, যার পেছনে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
মূলত, মূল্যবৃদ্ধি, বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি এবং বাসস্থানের খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভোটাররা তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি এবং নিউ ইয়র্ক সিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো মুখ্য হয়ে ওঠে। নির্বাচনে জয়ী হওয়া প্রার্থীরা জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, নিউ জার্সির নবনির্বাচিত গভর্নর মিকি শেরিলে বিশেষভাবে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ওপর জোর দেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৯ সালের পর থেকে জীবনযাত্রার ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর ফলে অনেক পরিবারকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অনেকে বলছেন, জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়েছে যে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে, ভোটাররা এমন নেতাদের সমর্থন করেছেন যারা তাদের অর্থনৈতিক দুর্দশা কমাতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নির্বাচনে জয়ী হওয়া অনেক প্রার্থীই জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেছেন। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র-ইলেক্ট জোহরান মামদানি শহরের শ্রমিক শ্রেণির জন্য বাসস্থানের খরচ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি ভাড়া স্থিতিশীল রাখা এবং গণপরিবহন বিনামূল্যে করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, যা জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচনগুলোতে অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো যে প্রধান ভূমিকা রেখেছে, তা স্পষ্ট। ভোটাররা এখন এমন নেতাদের খুঁজছেন যারা তাদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। তাই, এই নির্বাচনের ফলাফল থেকে বোঝা যায়, অর্থনৈতিক বিষয়গুলো যেকোনো দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: মার্কিন সংবাদমাধ্যম অবলম্বনে।